বার বার আবেদন করা সত্বেও কেউ সরকারি ঋণ পাচ্ছেন না, আবার কেউ প্রশিক্ষণের অভাবে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। সরকারি উদ্যোগে স্থায়ী বিপণনের পরিকাঠামো গড়ে না ওঠায় অনেকেই তাঁদের তৈরি করা সামগ্রী সারাবছর ধরে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছেন না। প্রশাসনিক সহযোগিতায় উত্তর দিনাজপুরের তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত জন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই অভিযোগ তুললেন জেলার নয়টি ব্লকের বিভিন্ন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্রীপুর মহিলা ও খাদি উন্নয়ন সমিতি, সিনি ও এনওএসকেকে নামে তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বুধবার থেকে রায়গঞ্জের মিউনিসিপ্যাল পার্কে তিনদিনের ওই জন উৎসব শুরু হয়েছে। সেখানে জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, ইসলামপুর, করণদিঘি, চোপড়া, গোয়ালপোখর-১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া এলাকার ৭০০রও বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক হাজার মহিলা যোগ দিয়েছেন। এ দিন ওই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক স্মিতা পান্ডে।
এদিন ওই উৎসবে সামিল হয়ে ইটাহার ব্লকের ঘেরাগ্রাম মমতাজময়ী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য আকতারি বিবি জানান, তাঁদের গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ১১ জন! গত ৯ বছর ধরে তাঁরা হাঁস ও মুরগি পালন, সবজি চাষ ও ধান ভাঙার কাজ করছেন! তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে গিয়ে আবেদন নিবেদন করেও সহজ শর্তে সরকারি ঋণ পাইনি! আমরা যাতে সহজেই ঋণ পাই, সেই বিষয়ে প্রশাসনের কর্তাদের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি!
রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর বোস্তর প্রগতি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আট সদস্য হাঁস ও মুরগি পালন করার পাশাপাশি প্রশাসনের নির্দেশে এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিশুদের পুষ্টির বিষয়ে সচেতনতা চালায়। সেই গোষ্ঠীর সদস্য কান্তিদেবী মাহাতো বলেন, “সরকারি আর্থিক সাহায্যের অভাবে দল চালানোই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। সেকথাই উদ্যোক্তাদের বলেছি।”
স্মিতাদেবী বলেন, “স্বনির্ভরগোষ্ঠীগুলির কিছু অভাব-অভিযোগ থাকতেই পারে। প্রশাসন সবার সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানে উপযুক্ত পদক্ষেপ করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy