চড়া হারে দাম নিয়েও সরকারি রিসর্টে নিম্ন মানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। উত্তরবঙ্গের মূর্তি এলাকায় নদীর ধারে পর্যটন দফতরের রিসর্টে ওই ঘটনা ঘটছে বলে অভিযো। পর্যটকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও পর্যটন দফতরের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ করে রিসর্টটি তৈরি হয়েছে। সেখানে স্থানীয় ভাবে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি। পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী যে জেলায় থাকেন, সেই মালদহের একটি বেসরকারি সংস্থা খাবার সরবরাহের বরাত পেয়েছে ওই রিসর্টে। পর্যটকদের অনেকেরই অভিযোগ, নানা মহলে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “মূর্তির রিসর্টের খাবারের মান নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভীষ্মদেব দাশগুপ্ত অবশ্য জানান, তাঁর কাছে মূর্তি রিসর্টের খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “মূর্তি রিসর্টে একটি টিম পাঠানো হবে। তারা রিপোর্ট দিলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ভুক্তভোগী পর্যটকদের অনেকেই এমডি-র আশ্বাসে বিস্মিত। ওই পর্যটকরা জানান, কোনও ‘টিম’ পাঠানো হলে সে দিন নিম্ন মানের খাবার যে সরবরাহ হবে না সেটা বলাই বাহুল্য। তা হলে পর্যটন দফতরের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশেই মূর্তিতে নিম্ন মানের খাবার সরবরা চলছে কি না সেই প্রশ্নও উঠেছে। পর্যটন প্রসারে যুক্ত সংস্থার কর্ণধার রাজ বসুর কথায়, “মূর্তির খাদ্য সরবরাহের অবস্থার কারণে এখন সেখানে পর্যটকদের পাঠাতে দশ বার চিন্তা করতে হচ্ছে। যা কোনও মতে কাম্য নয়।”
২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর ডুয়ার্সের মূর্তি নদীর ধারে পর্যটন দফতরের তৈরি ২৬ টি সুসজ্জিত কটেজ বিশিষ্ট রিসর্ট চালু হয়। প্রথম থেকে আবাস গুলিতে রাত কাটানোর জন্য ভিড় করতে শুরু করেন পর্যটকরা। তবে পর্যটন দফতরের পশ্চিমবঙ্গে যে বাকি ২৩টি আবাস রয়েছে সেখানে দফতরের কর্মীরা খাদ্য সরবরাহ করলেও মূর্তির ক্ষেত্রে বার সহ পর্যটকদের যাবতীয় খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পর্যটকদের অভিযোগ, অন্য সমস্ত সরকারি আবাসের খাদ্যের দামের তুলনায় মূর্তির খাবারের দাম অনেক বেশি। মূর্তিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পরিবেশন কিংবা রান্নার কর্মী নেই। মাত্র তিন জন মিলে রান্নাঘর চালান। ফলে, খাবার চাইবার পরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় পর্যটকদের। তেমনই খাবারের অনেকটাই এতটা নিম্নমানের তা মুখে তোলা যায় না বলে পর্যটকদের কয়েকজনের অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy