বিজেপি-র ডাকা শনিবারের বন্ধে দোকানপাট বন্ধ রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তৃণমূলের নেতা কর্মীরা বন্ধ তুলতে এলেও ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলেননি। আর এতেই রবিবার ‘জোর করে’ ব্যবসা বন্ধ করানোর অভিযোগ উঠলো টোটোপাড়া ২ অঞ্চল তৃণমূল কমিটির বিরুদ্ধে। রীতিমত হুমকি দিয়ে তা করানো হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের একাংশের। ডুয়ার্সের শামুকতলার রোড বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে রীতিমত ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এদিন এলাকার দোকানপাট সব বন্ধ ছিল।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যবসায়ী সমিতির লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোনও রাজনৈতিক দল বনধ ডাকলে দোকান বন্ধ রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী বিজেপি এবং তাঁদের ছাত্র সংগঠনের ডাকা বন্ধেও দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। তৃণমূল নেতারা শনিবার মিছিল করে রবিবার ব্যবসা বন্ধের ডাক দেয়। রীতিমত হুমকির সুরে ব্যবসা বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করা করেছে।
দলের টোটোপাড়া ২ অঞ্চল সম্পাদক জগদীশ দাস বলেন, “বিজেপির বনধকে সমর্থন করার জন্য ব্যবসা বনধ ডাকার অভিযোগ ঠিক নয়। ১৪ জানুয়ারি কামাখ্যাগুড়ি কলেজে আমাদের এক ছাত্র নেতাকে মারধর করে তার মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। এর প্রতিবাদে ব্যবসা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ব্যবসায়ীরা নিজে থেকেই দোকানপাট বন্ধ রাখেন। ব্যবসায়ী সমিতিতে সিপিএমের লোকজন রয়েছে। তাঁরাই চক্রান্ত করে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।” যদিও এলাকার তৃণমূলের কর্মী এবং ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সঞ্জীব কুমার মোদক জানান, আমরা এ দিনের বনধরকে মেনে নিতে পারেনি। তবে ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত থাকা এদিনও ব্যবসা বন্ধ রাখা হয়।”
এদিনের বনধ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার ২ ব্লক সভাপতি কাজল দত্ত বলেন, “দল বন্ধের রাজনীতি সমর্থন করে না। শামুকতলা রোডে বনধ ডাকার আগে আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেননি। দলের জেলা সভাপতিকে সব জানানো হচ্ছে।”