Advertisement
E-Paper

উপনির্বাচনে হারের কারণ এনআরসি নয়, রিপোর্ট বিজেপির

খড়্গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর— এই তিন বিধানসভার উপনির্বাচনে হারের পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃ্ত্ব রাজ্যের তিন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় সিংহকে ওই ফলের কারণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩৭
বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ে এনআরসি-র ভূমিকা সামান্যই।—ফাইল চিত্র।

বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ে এনআরসি-র ভূমিকা সামান্যই।—ফাইল চিত্র।

তিন বিধানসভার উপনির্বাচনে হারের পরে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতৃত্ব ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিরোধী প্রচারই ওই ফলের কারণ। কিন্তু ওই ফলের দু’সপ্তাহ পরে দলের নেতারাই রিপোর্ট দিলেন, এনআরসি-র ভূমিকা সামান্যই। আত্মতুষ্টি, প্রচারে ঢিলেমি এবং প্রার্থী নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই উপনির্বাচনে হারের মূল কারণ।

খড়্গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর— এই তিন বিধানসভার উপনির্বাচনে হারের পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃ্ত্ব রাজ্যের তিন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় সিংহকে ওই ফলের কারণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং আর এক নেতা শিবপ্রকাশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন সায়ন্তন, রাজু এবং সঞ্জয়। দলীয় সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, লোকসভায় ১৮টি আসন জয়ের পর দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অতি আত্মবিশ্বাস এবং আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল। তার ফলে তিন কেন্দ্রেই প্রচারে ঢিলেমি ছিল। বিপরীতে, তৃণমূল লোকসভার ক্ষতি মেরামতে বাড়তি নজর দিয়েছিল। এ ছাড়া, অপছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও কাঁটা হয়েছিল কোথাও কোথাও।

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে রিপোর্টে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, দিলীপবাবুর ছেড়ে যাওয়া আসন খড়্গপুর সদরে প্রার্থী প্রেমচন্দ ঝা’কে সাধারণ মানুষ এবং দলের অনেকেই পছন্দ করেননি। তার ফলে দলের একটা অংশ প্রচারেই নামেনি। অন্য দিকে, তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি ছিল। লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে কালিয়াগঞ্জেও বিজেপি এগিয়ে ছিল। কিন্তু উপনির্বাচনে বাইরে থেকে আসা বড় নেতাদের জনসভায় প্রার্থীকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বলে তিনি পাড়ায় পাড়ায় প্রচারে যথেষ্ট সময় দিতে পারেননি। ওই কেন্দ্রে এনআরসি নিয়ে তৃণমূল-সহ বিরোধীদের প্রচারের মোকাবিলাও করা যায়নি। করিমপুরে অবশ্য লোকসভার ফলের নিরিখে বিজেপি পিছিয়ে ছিল। সেখানে তাদের ভোটও বেড়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, সেখানেও স্থানীয় ১০ জন প্রার্থী হতে চেয়ে পারেননি। ফলে প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রচারও মসৃণ হয়নি। কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুর— দুই ক্ষেত্রেই সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলে চলে যাবে, সেটা আন্দাজ করা যায়নি। ভাবা হয়েছিল, ওই ভোট তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে ভাগ হবে।

হারের ব্যাখ্যায় রাজ্য নেতাদের ওই রিপোর্ট নিয়ে দিলীপবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমি ওই বৈঠকে ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’

By Election BJP NRC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy