প্রতীকী ছবি।
এ যেন ‘এক ফুল, দো মালি’র গল্প! এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল এক প্রৌঢ় এবং এক যুবকের। দু’জনের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতাল চত্বরই বেছে নিয়েছিলেন মহিলা। স্থান এক হলেও দু’জনকে আলাদা আলাদা সময়ে দেখা করতে আসতেও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু স্রেফ সময়ের হেরফেরে মুখোমুখি দেখা হয়ে গেল তিন জনের!
আর তার পরেই ঝামেলা লেগে গেল দুই প্রেমিকের! প্রথমে ধস্তাধস্তি। তার পর হাতাহাতি। আচমকা ঘুষিতে জ্ঞান হারান প্রৌঢ়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, প্রৌঢ় মারা গিয়েছেন।
শনিবার ভরদুপুরে এমনই এক ঘটনা দেখল বসিরহাট হাসপাতাল চত্বর! বসিরহাটের আরএন রোডের বাসিন্দা প্রদীপ দত্ত (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগে পুলিশ টাকির বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাস নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জেরায় ওই মহিলা প্রদীপবাবু এবং সুজিতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন।
জানা গিয়েছে, প্রদীপবাবু বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রেই টাকির ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয়। মহিলা বিবাহিত। তাঁর সঙ্গে আগেই সুজিতের সম্পর্ক ছিল। মহিলা শনিবার এক আত্মীয়কে দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে আগেই পৌঁছেছিলেন প্রদীপবাবু। একটি দোকানে তিনি চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় সুজিতকে ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় সুজিতের দিকে তেড়ে যান। তার পরেই তাণ্ডব শুরু। প্রদীপবাবু জ্ঞান হারালে সুজিতকে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রদীপবাবুর ছেলে সুজিতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy