হাসপাতালে আহত তৃণমূল কর্মীর চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মাঝেই পশ্চিম মেদিনীপুরে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। বোমাবাজিতে দু’জন জখম। ঘটনায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন আহতরা। যদিও এলাকার তৃণমূল নেতারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তৃণমূল কর্মীদের উপর ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় থানার মকরামপুর এর অভিরামপুরে। আহতদের বক্তব্য, ওই এলাকায় তাঁরা ৪ জন বসে গল্প করছিলেন। সে সময় আচমকা ৩ জন বাইকে চড়ে এসে গুলি চালায় এবং বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। বেগতিক দেখে এক জন পালাতে সক্ষম হন। কিন্তু পিঠে গুলি লাগে অভীক দলুই নামে এক তৃণমূল কর্মীর। বাকি দু’জন বোমার আঘাতে জখম হন।
অভীক-সহ সকলকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সীতারাম মুর্মু এবং অমিত মণ্ডল নামে আরও দু’জন। হামলার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় আক্রান্তরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সীতারামের অভিযোগ, ‘‘আমরা তৃণমূল করি। মনে হচ্ছে, তৃণমূলের নেতা লক্ষ্মীকান্ত শিট এই হামলার পিছনে। আমরা এখন তেমন ভাবে দলের হয়ে কাজ করছি না। উনি নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। মনে হচ্ছে সেই আক্রোশেই উনিই এই আক্রমণ চালিয়েছেন। না হলে আমরা তো এলাকায় কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি।’’ যদিও সীতারামের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মিহির চন্দ্র বলেন, ‘‘শুনেছি গুলি চালিয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে তো হবে না। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’
খড়গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটা ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। বাইকে করে ৩ জন এসে হামলা চালিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy