যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হল কলা বিভাগের অনলাইন ক্লাস।
শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-শিক্ষক মুখোমুখি শিক্ষণ না-হোক, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সাইবার-সরণিতে কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের পঠনপাঠন শুরু করে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কবে ক্লাস শুরু হবে, সেই সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও।
শ্রেণিকক্ষের শিক্ষণই যে আদর্শ পড়াশোনা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষও সেই মনোভাব পোষণ করেন। কিন্তু অতিমারির এই আবহে আপাতত সেটা সম্ভব নয়। তাই রবিবার থেকে কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের অন্তর্বর্তী (ইভ্ন) সিমেস্টারের ক্লাস চলছে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যভাণ্ডারে অথবা অন্য কোনও ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অডিয়ো-ভিডিয়ো নোটস, পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনস আপলোড করে দিচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীরা দেখে কোনও বিশেষ অংশ বুঝতে না-পারলে ফোনের মাধ্যমে পরিষ্কার করে দিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাই।
কিন্তু ১৬ অগস্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে ক্লাস শুরু করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ছাত্র-প্রতিনিধিরা সে-দিন ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আগাগোড়া। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিবিরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল তার পরে আর বৈঠকে বসেনি। ওই বিভাগের ক্লাস কবে শুরু হবে, তা-ও স্পষ্ট নয়।
যে-সব ছাত্রছাত্রীর ডেটা কার্ড-সহ স্মার্টফোন নেই অথবা যাঁদের ইন্টারনেট পরিষেবা দ্রুত নয়, তাঁদের সমস্যা মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছেন। এই ব্যাপারে একটি তহবিল গড়েদান-অনুদানের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছেন তাঁরা। এই কাজে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। রাজ্য সরকার, বণিকসভা, শিক্ষক, পেনশনভোগী, প্রাক্তনী সংসদ, এমনকি অভিভাবকদের কাছে এই তহবিলে দানের আবেদন জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সাহায্যের জন্য অনেকেই ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জন এই কাজে দান করতে ইচ্ছুক। উপাচার্যের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষকও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy