সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষণিক তিন তালাককে খারিজ করে দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল কেন নীরব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তিন তালাকে মুখ বন্ধ রেখে তৃণমূল আসলে সংখ্যালঘু মৌলবাদকেই ইন্ধন দিচ্ছে বলে এক সুরে অভিযোগ সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতৃত্বের। সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরীরা আরও মনে করছেন, তৃণমূলের এই ‘কৌশলগত নীরবতা’ বিজেপি-র উত্থানেও মদত দিচ্ছে। এই অভিযোগের পরেও তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় যাচ্ছেন না।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবু বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী প্রকাশ্যে ওই রায়ের বিরোধিতা করেছেন এবং আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নিজের দল ও সরকারের এই মন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কি সহমত?’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবুর প্রশ্ন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সব বিষয়ে মতামত আছে। অথচ এই বিষয়ে কোনও কথা শোনা যাচ্ছে না কেন?’’ আর বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘শুধু ভোটের জন্য সংখ্যালঘু মহিলাদের জীবন ও সম্মানকে উনি উপেক্ষা করছেন। ইতিহাস ওঁকে ক্ষমা করবে না!’’
তৃণমূল কিছু না বললেও মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা এ দিনও বলেছেন, ‘‘বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। সিপিএম নাস্তিক। তারা এই নিয়ে হইচই করছে। ওদের কথায় কিছু এসে যায় না।’’ তৃণমূলের শীর্ষ সূত্রে অবশ্য বোঝানো হয়েছিল, সিদ্দিকুল্লা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি হিসাবে যা বলছেন, তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু প্রকাশ্যে তাদের নীরবতা বিরোধীদের মুখ খোলার সুযোগ করে দিচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy