ফাইল চিত্র।
টানাপড়েনের পরে শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদ। শাসক ও বিরোধী পক্ষের আলোচনায় এখনও পর্যন্ত এই মর্মেই ঐকমত্য হয়েছে। পিএসি-র ধাঁচেই পুরসভা ও পঞ্চায়েত স্তরের জন্য নতুন তৈরি হওয়া স্থানীয় এলাকা তহবিল কমিটির দায়িত্ব হাতে রাখতে পারে তৃণমূল। দু’পক্ষের রফা শেষমেশ বজায় থাকলে পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে কংগ্রেস ও বামেদের পছন্দের প্রার্থী জলপাইগুড়ির বিধায়ক, প্রাক্তন আইএএস সুখবিলাস বর্মা।
দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর সিংহকেই ফের পিএসি-র মাথায় রাখতে তাঁর মনোনয়ন ও নাম প্রস্তাবের কাজ এগিয়ে রেখেছিল সরকার পক্ষ। কংগ্রেসও ওই পদের দাবিতে অনড় থেকে কমিটি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও মুখ্য সরকারি সচেতক নির্মল ঘোষের সঙ্গে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর আলোচনায় ছবিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, তার আগে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন পার্থবাবু। শঙ্করকেও দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেসের অন্দরে অবশ্য পিএসি নিয়ে অন্য বিবাদ বেধেছে। কমিটিতে দলের চার জন সদস্য পাঠানোরই সুযোগ যদি থাকে, তা হলে রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তকে (‘মামলা-হামলা’ সামলে যিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ছেন) মনোনয়ন দেওয়াতে চান কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা মান্নান। সে ক্ষেত্রে বিরোধী দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তীকে স্থানীয় তহবিল কমিটিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে প্রবল ক্ষুব্ধ মনোজবাবু। বামেদের তরফে পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী-সহ তিন জনের নাম আছে। মোট ২০ সদস্যের এই কমিটিতে শাসক দলের প্রতিনিধি ১৩ জন। চারটি নির্বাচিত কমিটির বাইরে স্থায়ী কমিটিগুলির ক্ষেত্রে আগের বিন্যাস রেখেই কংগ্রেস পাঁচ এবং বামেরা চারটির চেয়ারম্যান পদের দাবিদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy