ফাইল চিত্র।
সপ্তাহের শেষ বলেই যেন এ বার জন্মাষ্টমীতে উৎসবের মাতন একটু বেশি। কেউ করছেন বাড়িতে গোপাল পুজো, কেউ বা মন্দিরে-মঠে। উপচার নানা রকম নাড়ু, তালের বড়া, খোয়া ক্ষীর, ননী, হরেক রকমের মিষ্টি।
শ্যামবাজারের এক মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা গেল, রসগোল্লা, পান্তুয়া, সন্দেশকে সাময়িক ভাবে হটিয়ে দিয়ে কাউন্টার আলো করে আছে তালের বড়া, নারকেল নাড়ু, খোয়া ক্ষীর এবং অবশ্যই ননী। দোকানের মালিক নীলমণি পুরকায়স্থ বলেন, ‘‘জন্মাষ্টমীতে তালের বড়া আক্ষরিক অর্থেই হট কেক। ঝুড়ি ঝুড়ি তালের বড়া তৈরি হচ্ছে। নিমেষের মধ্যেই শেষ। সারা দিনে কয়েক হাজার তালের বড়া তৈরি করলাম।’’ এক ক্রেতা জানান, তালের বড়ার দাম চার টাকা। ইচ্ছে থাকলেও সময়ের অভাবে বাড়িতে তালের বড়া তৈরি করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই কিনে নিবেদন করতে হচ্ছে ঠাকুরকে। দক্ষিণ কলকাতায় রাসবিহারী এলাকার এক দোকানদার জানালেন, প্রতি বারেই জন্মাষ্টমীতে নানা ধরনের নাড়ুর চাহিদা থাকে। এ বার সেই চাহিদা যেন একটু বেশিই।
বেলেঘাটার কুন্তল অধিকারী বলেন, ‘‘ফ্ল্যাটেই ছোট করে গোপাল পুজো করলাম। সকালে গোপালকে স্নান করানো থেকে সব আচার-অনুষ্ঠানই করেছি। বাড়িতেই তৈরি হয়েছে তালের বড়া ও লুচি, নারকেল নাড়ু।’’ বাগবাজারের গৌড়ীয় মঠে তিন দিন ধরে জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় হবে নগর সংকীর্তন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy