পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত ভোটে নদিয়ায় বিজেপির ‘উত্থানে’ উদ্বিগ্ন তৃণমূল নেতৃত্ব। নদিয়ার নাকাশিপাড়া, তেহট্ট, কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট উত্তর-পূর্বের মতো বিধানসভা এলাকাগুলির অনেক জায়গায় পঞ্চায়েতে বিজেপি পিছনে ফেলেছে তৃণমূলকে। তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’কে পিছনে ফেলে বিজেপি বাড়ার নেপথ্যে জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করেন নদিয়ায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে শনিবার কল্যাণীতে জেলার বিধায়ক, সাংসদ এবং ব্লক সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন পার্থ। বিধানসভা ধরে ধরে ফল পর্যালোচনার সময়ই পার্থবাবু নদিয়ায় বিজেপির উত্থান নিয়ে ক্ষোভ জানান। জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় যথেষ্ট নজর দিচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করেন বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর। পরে পার্থ বলেন, ‘‘সিপিএম, কংগ্রেস শিবিরের ভোট অনেকটাই বিজেপির দিকে কেন চলে যাচ্ছে, তা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছি। জেলায় নেতাদের ঝগড়া বন্ধ করতেও বলেছি।’’
নদিয়ায় জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতে থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩২০৯টি আসনের মধ্যে ৬৪৭টি আসন পেয়েছে বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৫৪১টি আসনের মধ্যে ৬৪টি দখল করেছে গেরুয়া শিবির। জেলা তৃণমূল সূত্রের পরিসংখ্যান, প্রায় ২৬ লক্ষ ভোট পড়েছিল নদিয়ায়। ১৪ লক্ষের কাছাকাছি তৃণমূল পেলেও প্রায় ৭ লক্ষ বিজেপি পেয়েছে। এই পরিসংখ্যান তুলে পার্থ অসন্তোষ জানান বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ কলকাতায় বেশি সময় দেওয়ায় ক্ষুব্ধ পার্থ। চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ করও তাঁর এলাকায় সকলের সঙ্গে মিলে কাজ করছেন না বলে অভিযোগ করেন পার্থ। বিধায়ক অবনীমোহন জোয়ারদার, কৃষ্ণগঞ্জের সত্যজিৎ বিশ্বাসের কাজেও দলীয় নেতৃত্ব যে অসন্তুষ্ট, স্পষ্ট করেন পার্থ।
বলা সত্ত্বেও শান্তিপুরে পুরনো ও বিজয়ী প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হয়নি বলে রাজ্য নেতৃত্ব অভিযোগ পেয়েছিলেন। শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যর কাছে এর কারণ পার্থ জানতে চান। তাঁর এলাকায় ভোটের দিনে খুনের ঘটনায় দল যে ‘বিড়ম্বিত’, তার ইঙ্গিত দিয়ে পার্থ অরিন্দমকে সতর্ক করেন। মারদাঙ্গার রাজনীতি করলে তা আর বরদাস্ত করা হবে না বলেও পার্থ অরিন্দমকে হুঁশিয়ারি দেন। একই সঙ্গে শান্তিপুর পুরসভার কাজেও অরিন্দম হস্তক্ষেপ করছে বলে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy