Advertisement
E-Paper

ভিন্ন অনুষ্ঠানে পার্থ ও শুভেন্দু, হুল দিবসেও জল্পনা

দুই ভিন্ন অনুষ্ঠানে পার্থ ও শুভেন্দুর উপস্থিতি ঘিরে তৃণমূলের অন্দরেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০ ০১:৫৯
ঝাড়গ্রাম ফরেস্ট রেঞ্চ অফিসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিকে), লালগড়ের খাসজঙ্গলে একটি আদিবাসী ক্লাবের হুল দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু  অধিকারী। মঙ্গলবার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ ও নিজস্ব চিত্র

ঝাড়গ্রাম ফরেস্ট রেঞ্চ অফিসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিকে), লালগড়ের খাসজঙ্গলে একটি আদিবাসী ক্লাবের হুল দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু  অধিকারী। মঙ্গলবার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ ও নিজস্ব চিত্র

সরকারি বিজ্ঞাপনে নাম ছিল দু’জনেরই। মঙ্গলবার, হুল দিবসে কাছাকাছি সময়ে ঝাড়গ্রামে এলেনও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে দু’জন থাকলেন দুই ভিন্ন অনুষ্ঠানে।

গত বছর নভেম্বরে শুভেন্দুর সঙ্গে পার্থকেও ঝাড়গ্রাম জেলার সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে জেলার রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মসূচি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন শুভেন্দু। তবে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত কর্মসূচিতে তিনি এসেছেন। এই আবহে এ দিন দুই ভিন্ন অনুষ্ঠানে পার্থ ও শুভেন্দুর উপস্থিতি ঘিরে তৃণমূলের অন্দরেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

প্রতি বারের মতো এ বারও রাজ্যস্তরের হুল দিবসের অনুষ্ঠান ঝাড়গ্রামে হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম গ্রামীণের কেচন্দা প্রাথমিক স্কুল মাঠে সেই অনুষ্ঠানস্থলে হুলদিবসের পতাকা উত্তোলন করেন পার্থ। পরে জেলাপ্রশাসনের সভাঘরে হুল দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি। অন্য দিকে দুপুর ১টায় লালগড়ের রামগড় অঞ্চলের ‘খাসজঙ্গল সিদো-কানহো গাঁওতা’-র উদ্যোগে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হন শুভেন্দু। আদিবাসী সমাজের ৮ জন মাঝি বাবাদের সংবর্ধনা দেন তিনি। দশটি আদিবাসী সাংস্কৃতিক দলের হাতে ধামসা-মাদল তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন লালগড় ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি তন্ময় রায়, রামগড় অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি শ্রীকান্ত সিংহ, -সহ স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। খাসজঙ্গলের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে আসিনি। আপনাদের নিজের লোক হিসেবে জঙ্গলমহলে বার বার এসেছি। সেই রকমই আজকেও আসা।’’

সরকারি অনুষ্ঠানে না গিয়ে লালগড়ে ক্লাবের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় অবশ্য বিতর্কের কিছু দেখছেন না শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘গত বছরও হুল দিবসে আমি ও পার্থদা দু’টি ভিন্ন জায়গায় ছিলাম। বিতর্কের কিছু নেই। খাসজঙ্গলের উদ্যোক্তারা এক মাস আগে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।’’ যদিও সরকারি অনুষ্ঠানে শুভেন্দুর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে পার্থের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুভেন্দু এলে ভাল হত। তবে সেও তো একটা কর্মসূচি পালন করেছে।’’

এ দিন জেলায় এসে প্রথমেই ঝাড়গ্রাম রেঞ্জ অফিসের সভাঘরে দলের জেলা সভানেত্রী বিরবাহা সরেন-সহ জেলার নেতা-নেত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দলীয় বৈঠক করেন পার্থ। জানিয়ে দেন, দল সরকার থাকলে তবেই দলের জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। তাই দলের সংগঠন পোক্ত না করলে আখেরে কোনও লাভ নেই। ঝাড়গ্রামে এখনও দলের স্থায়ী জেলা কার্যালয় না হওয়ায় উষ্মাপ্রকাশও করেন তৃণমূলের মহাসচিব। দীর্ঘদিন পরে এই দলীয় বৈঠকে ছিলেন ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদাও। পরে বিকেল ৩টে নাগাদ ঝাড়গ্রাম গ্রামীণের কেচন্দা প্রাথমিক স্কুল মাঠে সরকারি কর্মসূচিতে যান পার্থ।

Partha Chatterjee Suvendu Adhikari Hull Day Celebration TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy