Advertisement
E-Paper

‘অ্যাকাউন্ট সামলাতেন’ পার্থের জামাই! নিয়োগকাণ্ডে আবার কল্যাণময়ের মামার আঙুল রাজসাক্ষী ভাগ্নের দিকেই

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পার্থের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হন তাঁর জামাই কল্যাণময়। শুরুতে এই মামলায় পার্থের সঙ্গে অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন তিনিও। তবে রাজসাক্ষী হওয়ার পর কল্যাণময়কে অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:০১
পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এ বার সেই কল্যাণময়ের বিরুদ্ধেই আদালতে সাক্ষ্য দিলেন তাঁর মামা, যিনি আবার সম্পর্কে পার্থের বেয়াই হন! সোমবারও ভাগ্নের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন কল্যাণময়ের মামা। মঙ্গলবার তিনি ফের দাবি করলেন, ভাগ্নেই সব সংস্থার অ্যাকাউন্টের দেখাশোনা করতেন।

বিচার ভবনে নিয়োগ দুর্নীতির বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। মঙ্গলবার সেখানেই ওই সাক্ষীর কাছে পার্থের আইনজীবী জানতে চান, ‘বোটানিক্স’ নামের একটি সংস্থার প্রাথমিক কাজের জন‍্য যে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল, তার মধ‍্যে পাঁচ লক্ষ টাকা তিনি দিয়েছিলেন কি না? উত্তরে কল‍্যাণময়ের মামা জানান, ওই পাঁচ লক্ষ টাকা তাঁর নামে দেখানো হয়েছিল। আসলে কল‍্যাণময়ই পুরো টাকা দিয়েছিলেন। এই টাকার বিষয়ে কল‍্যাণময় ইডিকে কী জানিয়েছেন, তা-ও তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেছেন মামা। এর পর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, এ ছাড়াও একটি সংস্থার অডিটে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-১৮ সালে ওই সাক্ষী সংস্থাকে এক লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে পার্থের বেয়াইয়ের উত্তর, সংস্থার অ‍্যাকাউন্টগুলি তাঁর ভাগ্নেই নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর দাবি, কথায় কথায় কল‍্যাণময় তাঁকে এ-ও জানিয়েছিলেন যে, পার্থ তাঁর স্ত্রীর নামে একটি স্কুল তৈরি করতে চান।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা পাঁচটি সংস্থার হদিস পেয়েছেন, যেগুলির সঙ্গে কল্যাণময়ের মামা যুক্ত ছিলেন। এগুলির মধ্যে দু’টি সংস্থার ডিরেক্টর পদেও ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও, কল্যাণময় ইডিকে জানিয়েছিলেন, ‘বোটানিক্স’-এর জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিয়েছিলেন দু’জনে। যদিও মঙ্গলবার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন পার্থের বেয়াই। পাশাপাশি, সংস্থাগুলির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার দায় এড়িয়েছেন তিনি। সোমবারও আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে তিনি দাবি করেছিলেন, ডিরেক্টর হওয়া সত্ত্বেও সংস্থার সব কাগজপত্র খুঁটিয়ে না পড়েই সই করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন কল্যাণময়কে। তাই ভাগ্নে যেখানে বলতেন, সেখানেই সই করে দিতেন।

উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পার্থের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হন তাঁর জামাই কল্যাণময়। শুরুতে এই মামলায় পার্থের সঙ্গে অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন তিনিও। তবে রাজসাক্ষী হওয়ার পর কল্যাণময়কে অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। আমেরিকা প্রবাসী কল্যাণময় এখন কলকাতায় রয়েছেন। গোপন জবানবন্দির মাধ্যমে নিয়োগ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালতে পেশ করতে চাইছেন বলে আইনজীবী মারফত আবেদন করেছিলেন তিনি। বিচারক ওই আবেদন মঞ্জুরও করেন। কিন্তু এ বার নিয়োগ মামলায় সেই কল্যাণময়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁর মামা।

Primary Recruitment Case Partha Chatterjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy