প্রতীক্ষা: বেড পাওয়ার আগে এসএসকেএমের ইমার্জেন্সিতে অর্পিত সিকদার। নিজস্ব চিত্র
সঙ্কটাপন্ন বা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতকে কোনও হাসপাতাল থেকে ফেরানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণার পরেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক তরুণকে ফেরানোর অভিযোগ উঠল একাধিক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
কোনও হাসপাতালে সটান বলে দেওয়া হল, ওই তরুণের শরীরে যে-সমস্যা দেখা দিয়েছে, তার চিকিৎসা করার ব্যবস্থা সেখানে নেই। কোথাও বা শয্যা নেই বলে হাঁকিয়ে দেওয়া হল মাথায় গুরুতর চোট পাওয়া ওই রোগীকে। তারই মধ্যে এক জায়গায় সকালে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে রাত পর্যন্ত ফেলে রাখা হল তাঁকে। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই তরুণের পরিবারের তরফে কোথাও কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
তন্ময় সিকদার নামে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার অন্তর্গত বনগাঁপাল্লার এক বাসিন্দা জানান, তাঁর ভাইপো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্পিত সিকদার ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় মোটরবাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তাঁর মাথায় এবং কাঁধের বাঁ দিকের হাড়ে চোট লাগে। সে-রাতে বনগাঁর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়। পরের দিন বিকেলে পাঠানো হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, সেখানে ওই রোগের চিকিৎসা হয় না বলে জানিয়ে অর্পিতকে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তন্ময়বাবু বলেন, ‘‘১৫ মার্চ রাত ১০টায় এসএসকেএম হাসপাতালে গেলে তারা জানিয়ে দেয়, শয্যা নেই। পাঠানো হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে।’’ কিন্তু সেখানকার চিকিৎসায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি তন্ময়বাবুরা। বন্ডে সই করে শুক্রবার সকালে অর্পিতকে নিয়ে আবার এসএসকেএমে যান তাঁরা।
তন্ময়বাবুর অভিযোগ, পিজি-র জরুরি বিভাগের ডাক্তার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ভর্তি করতে বললেও অর্পিতকে ভর্তি করা হয়নি। দিনভর টানাপড়েনের পরে, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অর্পিতকে ভর্তি নেওয়া হয়। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সকালে ভর্তি করতে বলা সত্ত্বেও কেন তা করা হল না, বুঝতে পারছি না।’’ বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে স্বীকার করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী। তিনি বলেন, ‘‘কী ঘটেছে, খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy