Advertisement
E-Paper

বুড়িবালামের তীরে মিলল দুই বাংলা

তিনি মেলালেন। তাঁর মৃত্যুদিবস পালন করতে দুই বাংলার মানুষ এক হলেন ও়ড়িশার বালেশ্বরে বুড়িবালামের তীরে। যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীনের মৃত্যু দিবস পালন উপলক্ষে ওড়িশার বালেশ্বর শহরের গান্ধী স্মৃতি ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের।

কৌশিক মিশ্র

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:২৮
বাঘা যতীনকে শ্রদ্ধা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। —নিজস্ব চিত্র।

বাঘা যতীনকে শ্রদ্ধা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। —নিজস্ব চিত্র।

তিনি মেলালেন। তাঁর মৃত্যুদিবস পালন করতে দুই বাংলার মানুষ এক হলেন ও়ড়িশার বালেশ্বরে বুড়িবালামের তীরে।

যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীনের মৃত্যু দিবস পালন উপলক্ষে ওড়িশার বালেশ্বর শহরের গান্ধী স্মৃতি ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের। মঙ্গলবার দুপুরে ইন্সস্টিটিউট অফ সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ আয়োজিত অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ছিলেন যতীন্দ্রনাথের নাতি ইন্দুজ্যোতি মুখোপাধ্যায়, ইন্সস্টিটিউট অফ সোশ্যাল অ্যান্ড কালচ্যারাল স্টাডিজ-এর সম্পাদক অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, ওড়িশার বালেশ্বর জেলার জেলাশাসক সনাতন মল্লিক, কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজের অধ্যাপক বিমলশঙ্কর নন্দ, বালেশ্বরের পুলিশ সুপার নিতি শেখর, বাংলাদেশের লেখক ও সাংবাদিক শেখর কবির প্রমুখ। এছাড়া যতীন্দ্রনাথের বাড়ি বাংলাদেশের কুষ্ঠিয়া জেলার কয়া গ্রাম থেকে এসেছিলেন ১০ জন ও ঢাকা থেকে ৪ জন অতিথি। সুদূর বাংলাদেশ দেশের কুষ্ঠিয়া জেলা থেকে আসা লোকজন বালেশ্বর ও পশ্চিম বাংলার মানুষের যতীন্দ্রনাথের প্রতি আবেগ দেখে অবাক। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের যতীন্দ্রনাথের গ্রামের লোক হিসেবে আগে গর্ব অনুভব করতাম। এখন ভারতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা দেখে আমাদের গরিমা আরও বেড়ে গেল।’’

স্বাগত ভাষণে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘এমন মনীষীর জন্ম গর্বের।’’ ভারতে যতীন্দ্রনাথের বিপ্লবী কর্মজীবনের উল্লেখ করে তাঁকে বিরল প্রতিভাধর বলে জানান। অনুষ্ঠানের আগে বাবুল, যেখানে বাঘা যতীনের সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধ হয়েছিল সেখানে যান। এরপর তিনি যতীন্দ্রনাথের মৃত্যুস্থান বর্তমানে বাড়াবাটি বালিকা বিদ্যালয়ে যান। আগে সেখানেই ছিল ইংরেজ আমলের হাসপাতাল। এখানেই যতীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। মঞ্চে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে দর্শকের অনুরোধে কয়েক কলি গানও শোনাতে হয়। তার মধ্যে একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতও ছিল। যতীন্দ্রনাথের বাংলাদেশের গ্রাম থেকে আনা জলভরা পিতলের কলস বাবুল সুপ্রিয়ের হাতে তুলে দেন। বাংলাদেশের সাংবাদিক শেখর কবীর বলেন, ‘‘বাংলাদেশে আগামী বছরও একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথের মৃত্যুর ১০০ বছর পালন করা হবে। এমনকি বাংলাদেশের একটি সড়ক তাঁর নামে নামাঙ্কিত হবে।’’ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক বিমলশঙ্কর নন্দ বাঘা-যতীনের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। মৃত্যুর ১০০ বছর পরেও বাঘা যতীনের নামেই এক হয়ে গেল ওপার ও এপার বাংলা।

buribalam river martyrdom baghajatin martyrdom baghajatin kaushik mishra jatindranath mukhopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy