সকাল ১০টা। খড়দহ স্টেশন। ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যারাকপুর-শিয়ালদহ লোকাল। যে কোনও মুহূর্তে ছাড়বে। হঠাৎই এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছুটে এসে এক যুবক আপ লাইন পেরিয়ে সবে ছেড়ে দেওয়া ট্রেনটির প্রথম কামরায় উঠে পড়লেন। কানে তখন ইয়ারফোন গোঁজা।
লাইন পার হওয়ার সময়ে ওই যুবকের নজর ছিল দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মের ট্রেন ছেড়ে গেল কি না, সে দিকে। ফলে তিনি দেখলেনও না, তখনই আপ লাইনে প্রায় ঘাড়ের উপরে এসে পড়েছে আর একটি লোকাল। কয়েক জন চিৎকার করলেও ইয়ারফোন গোঁজা থাকায় ট্রেনের হর্ন শুনতে পাননি ওই যুবক।
প্ল্যাটফর্ম থেকে খুব বেশি হলে কুড়ি মিটারের ব্যবধান। বৃষ্টির জলেও ধুয়ে যায়নি রক্তের দাগ। রেললাইনের ধারে পড়ে বছর কুড়ির তরুণের পোশাকের ছেঁড়া টুকরো। মঙ্গলবার এ ভাবেই ইয়ারফোন গুঁজে লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছে কলেজ-ছাত্র সোহম মৈত্রের। তবুও যাত্রীদের একাংশের হুঁশ ফেরেনি, এই ছবি থেকেই তা স্পষ্ট।