Advertisement
E-Paper

আবাসিক এলাকায় বাসন কারখানা, রাতে ঘুম নষ্টের অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

মামলাকারীদের বক্তব্য, ওই বাসন কারখানা থেকে রাতে ভীষণ শব্দ হয়। স্টিলের আওয়াজে অনেকে ঘুমোতে পারেন না। ঘুম না হওয়ার কারণে বাসিন্দাদের জীবনে শান্তি নষ্ট হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ২০:৫২
A photograph of Calcutta High court

রাতে ঘুম নষ্টের অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। —ফাইল ছবি।

রাতে ঘুম নষ্টের অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের ভাসাইপাইকর গ্রামের কয়েক জন ওই দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ক্ষতিপূরণ হিসাবে বাড়ির তৈরির জন্য জায়গা দিয়েছিল সরকার। সেই জায়গায় বাড়ির পরিবর্তে স্টিলের বাসন কারখানা তৈরি করা হয়েছে। ফলে বাসনের শব্দে রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। হাই কোর্ট ওই ব্যক্তিদের মামলা দায়ের করতে অনুমতি দিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

১৯৬৪ সালে ফরাক্কায় ব্যারেজ তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়। সেই কারণে ওই এলাকায় অনেক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি যায় মুর্শিদাবাদের মহব্বতপুর গ্রামের লোকেদেরও। পরে সরকারের তরফে জমিহারাদের সাত ডেসিমেল করে জায়গা দেওয়া হয়। মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকার বাড়ি বানানোর জন্য ওই জমি দিয়েছিল। সেখানে জমি পেয়েছেন এমন এক জন বাড়ি না বানিয়ে সম্প্রতি বাসন তৈরির কারখানা তৈরি করেছেন। ফলে ওই কারখানা থেকে রাতের দিকে ভীষণ শব্দ হয়। স্টিলের আওয়াজে অনেকে ঘুমোতে পারেন না। ঘুম না হওয়ার কারণে বাসিন্দাদের জীবনে শান্তি নষ্ট হয়েছে। এমনকি ওই কারখানার ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি মামলাকারীদের।

হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন জিয়াউল শেখ-সহ ওই এলাকার পাঁচ জন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকেও বিষয়টি তাঁরা জানিয়েছেন। অভিযোগ জানানো হয়েছে জেলাশাসক, জেলা পুলিশের কাছেও। তাতেও কাজ না হওয়ায় এখন ওই পাঁচ জন হাই কোর্টে মামলা করেছেন। তাঁদের আবেদন, আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিক ওই জায়গা থেকে বাসন কারখানা সরিয়ে দেওয়ার। শান্তি বজায় রাখতে নির্দেশ দিক আদালত।

Calcutta High Court Farakka Barrage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy