প্রতীকী ছবি।
মে মাসের প্রথম দিনে ঝড়বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে গেল দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, শুক্রবার দফায় দফায় কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তার ফলে তাপমাত্রা বহু জেলায় অনেক কম ছিল। আগামী দু’-তিন দিন এমন ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।
সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় হবে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান খবর ছড়িয়েছিল। কিন্তু এ দিন পর্যন্ত কোনও ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা আবহাওয়া দফতর দেয়নি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তা ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে। তার জেরে আন্দামান ও নিকোবরে বৃষ্টি হবে কিন্তু ৬ মে পর্যন্ত তার প্রভাব এ রাজ্যের উপরে পড়ার সম্ভাবনা নেই। মৌসম ভবনের একটি সূত্রের দাবি, গভীর নিম্নচাপটি আরও কিছুটা শক্তি বাড়াবে এবং তা মায়ানমারের দিকে যাবে। আবহবিদেরা বলেন, প্রাক-বর্ষা (মূলত গ্রীষ্ম) এবং বর্ষা-পরবর্তী মরসুমে (মূলত হেমন্তকাল) ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা থাকে। তাই নজরদারি জরুরি।
গ্রীষ্মে এ বার বাংলার আবহাওয়া এমন মনোরম কেন? আবহবিদেরা বলছেন, এ বার ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি টানা তৈরি হচ্ছে। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জলীয় বাষ্পের অফুরন্ত জোগান দিচ্ছে বঙ্গোপসাগর। ফলে এমন পরিস্থিতি। ভরা বৈশাখে তাপপ্রবাহ তো দূর অস্ত্, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কোঠা ছুঁতে পারছে না। এ বার গ্রীষ্মের মেজাজ নিয়ে মৌসম ভবনের যে পূর্বাভাস ছিল তা মিলবে কি না সে নিয়েও অনেকে সন্দিহান। তবে কেউ কেউ বলছেন, এই অনুকূল পরিস্থিতি পেরোলে হয় তো প্রবল খর মেজাজে হাজির হবে গ্রীষ্ম। শেষ লগ্নে দহনজ্বালা দিয়ে মরসুম শেষে গড়ের উপরে পূর্বাভাস মিলিয়ে দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy