E-Paper

পুজোর মুখে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, সেনা-সম্মেলনে কি ভোটের বার্তা

গত বছর থেকে সেনাবাহিনীর যৌথ সম্মেলন শুরু হয়েছে। গত বছর ওই সম্মেলন হয় উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। সে সময়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান। এ বার ওই সম্মেলনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কলকাতাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:১৮
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

পুজোর মুখে কলকাতায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনার যৌথ কমান্ডার সম্মেলনের উদ্বোধন করতে কলকাতায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। বছর ঘুরলেই রাজ্যে ভোট। সূত্রের মতে, তার আগে দুষ্টের দমনে ভারতীয় সেনা কী ভাবে সক্রিয় রয়েছে, কী ভাবে অপারেশন সিঁদুরে পরাক্রম দেখিয়েছে, ওই সম্মেলনের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে সেই বার্তাই দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। লক্ষ্য ভোটের মুখে জাতীয়তাবাদের হাওয়াকে উস্কে দেওয়া। বিজেপি সূত্রের মতে, সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মোদী যাতে পুজোর আগে একটি রাজনৈতিক সভা করেন সে জন্যও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

গত বছর থেকে সেনাবাহিনীর ওই যৌথ সম্মেলন শুরু হয়েছে। গত বছর ওই সম্মেলন হয় উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। সে সময়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান। এ বার ওই সম্মেলনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কলকাতাকে। আগামী ১৫-১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই সম্মেলন হবে। যার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে ভোট। সম্প্রতি লালকেল্লা থেকে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ ও জনবিন্যাসের পরিবর্তন নিয়ে আশঙ্কা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত পূর্ব ভারতের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েই উদ্বেগ জানিয়েছিলেন তিনি। উপরন্তু প্রতিবেশী দেশের পরিবেশ এখনও অশান্ত। তাই অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যকে মাথায় রেখে সম্মেলনের ওই মঞ্চকে মোদী ভোটের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বলেই মনে করছেন রাজনীতিকেরা।

ওই সম্মেলনে মোদী ছাড়াও যোগ দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষা সচিব-সহ একাধিক মন্ত্রকের সচিবেরা। এ বারের সম্মেলনের আলোচনার প্রধান বিষয় হল সংস্কার, রূপান্তর, পরিবর্তন ও যুদ্ধ প্রস্তুতি। সশস্ত্র বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের ভিত্তিতে পরিচালনার বিষয়টিও আলোচ্যসূচিতে রয়েছে। এ ছাড়া জটিল ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীগুলি কতটা নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

PM Narendra Modi BJP Central Government West Bengal government Indian Army

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy