বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টে ‘সাময়িক স্বস্তি’ পেলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আপাতত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মতো কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। শান্তিনিকেতন থানার জারি করা নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ জারি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, মাত্র এক দিনের নোটিসে কী ভাবে পাঁচটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস দেওয়া হল?
আদালত জানায়, ১৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ২০ এবং ২২ নভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। শনিবারের মধ্যে বিদ্যুৎকে এফআইআরের কপি দেবে শান্তিনিকেতন থানা। তবে নতুন করে নোটিস জারি করে তবেই জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।
হাই কোর্টের নির্দেশ, ২০ নভেম্বর ৩টি মামলা এবং ২২ নভেম্বর দু’টি মামলায় বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। প্রতিটি মামলায় এক ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। আদালতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বলেন, “আমি প্রশাসনিক ভাবে সব কিছু সঠিক করার চেষ্টা করছিলাম। তাই শেষ পাঁচ বছর ধরে আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ছিল বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে বিদ্যুতের মেয়াদের শেষ দিন। সে দিনই তাঁকে থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা জানিয়ে নোটিস পাঠায় পুলিশ। বিতর্কিত ফলক বসানোর প্রতিবাদে দায়ের হওয়া মামলার পাশাপাশি, আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তার মধ্যে রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কুরুচিকর মন্তব্যের মতো অন্তত ছ’টি পৃথক অভিযোগ। সেই মামলাগুলি নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিদ্যুৎকে নোটিস পাঠিয়ে তলব করেছিল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। কিন্তু বিদ্যুৎ পুলিশকে জানান, হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁর তিন সপ্তাহ সময় দিতে হবে।
তার পরই শুক্রবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিদ্যুৎ। আদালত জানিয়ে দেয়, এখনই গ্রেফতারির মতো কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। এ দিন বিদ্যুতের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy