Advertisement
E-Paper

মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, নিরাপত্তা ঘিরল সড়ককে

বুধবার দিনভর দেখা গেল একই ছবি। হবিবপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য এ দিন দুপুর ১টার পরেই রানাঘাটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যারিকেড করে লরি, বাস, গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ডান দিকের রাজ্য সড়কে। তবে পথ বদলাতে অনেকেই রাজি হননি।

সৌমিত্র সিকদার

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৫১
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন জেলার পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন জেলার পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র

মালবোঝাই একটি বড় লরি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রানাঘাট থেকে শান্তিপুরের দিকে এগিয়ে চলেছে। রানাঘাট শহর লাগোয়া চূর্নী নদীর উপর সেতু পার হয়ে খানিকটা যাওয়ার পরে লরি আটকে দেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকর্মীরা। তাঁরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের জন্য সামনে রাস্তা বন্ধ।

বুধবার দিনভর দেখা গেল একই ছবি। হবিবপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য এ দিন দুপুর ১টার পরেই রানাঘাটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যারিকেড করে লরি, বাস, গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ডান দিকের রাজ্য সড়কে। তবে পথ বদলাতে অনেকেই রাজি হননি। ওই লরি চালকও চেনা রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তায় ঢুকতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে একপ্রস্থ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে রাজ্য সড়কই ধরেন ওই লরি চালক। তিনি বলেন, “জাতীয় সড়ক আমাদের পরিচিত রাস্তা। সেই কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। শুনলাম, পাশে কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর সভা হচ্ছে। তাই কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিচিত রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তা দিয়ে গেলে ঝুঁকি থেকে যায়।”

রানাঘাট শহর লাগোয়া চূর্ণী সেতু পার করে খানিকটা দূরে বাঁ দিকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে। ডান দিকে চলে গিয়েছে রানাঘাট-কৃষ্ণনগর বাইপাস রাস্তা। এই রাজ্য সড়ক বীরনগর, তাহেরপুর, বাদকুল্লা হয়ে কৃষ্ণনগরে গিয়েছে। বেসরকারি এক বাসের চালক বলেন, “এই রাস্তায় ঘুর পথে কৃষ্ণনগর যেতে হয়। যে কারণে সময় বেশি লাগে। আবার রাস্তার সব জায়গা ভালও নয়। এ সব কারণে দূরপাল্লার গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না।” এক যাত্রী বলেন, “মন্ত্রী এলে আমাদের বিপদে পড়তে হয়। কোথাও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার কোথাও অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে হয়।”

জেলা বাস মালিক সমিতির পরিচালন কমিটির সদস্য অসীম দত্ত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সভা থাকলে আমাদের একটু সমস্যা স্বীকার করে নিতে হয়। আমরা তাতে রাজিও আছি।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, এ দিন রাস্তায় বাস কম চলেছে। যে কারণে সে ভাবে কোনও সমস্যা হয়নি বলে তাঁর দাবি।

এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য রানাঘাট শহরের বিভিন্ন স্কুলে নিরাপত্তা রক্ষীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গত রাতে তাঁরা সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। রানাঘাট মিশন, রেলগেট-সহ জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে কয়েক দিন ধরেই রানাঘাট এলাকায় সাজো-সাজো রব। প্রথমে রানাঘাট শহরের নজরুল মঞ্চে সভা হওয়ার কথা ছিল। পরে হবিবপুরের ছাতিমতলার মাঠে বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিন হেলিকপ্টারে এসেছিলেন মমতা। হেলিপ্যাড ঘিরে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়।

Traffic Administrative Meeting Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy