বাগুইআটিতে মঙ্গলবার ট্রলি ব্যাগ থেকে যে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁকে খুন করা হয়েছিল শ্বাসরোধ করে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, মুখে বালিশ কিংবা কাপড় চাপা দিয়ে খুন করার পরে তরুণীর দেহটি ট্রলি ব্যাগে ভরে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিধাননগর কমিশনারেটের একটি সূত্রের দাবি, তরুণীর পরিচয় জানতে পেরেছে বাগুইআটি থানা। তবে, সরকারি ভাবে এ নিয়ে পুলিশকর্তারা মন্তব্য করতে চাইছেন না। এক পদস্থ আধিকারিক শুধু জানান, তাঁরা রহস্যের কিনারা করার খুব কাছাকাছি রয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে বাগুইআটির প্রতিবেশী পাড়ায় গলির ভিতরে পরিত্যক্ত জমিতে আবর্জনার ভিতর থেকে কালো রঙের ওই ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। সেটির ভিতরে এক তরুণীর দেহ মেলে। তাঁর পোশাক ও সাজ দেখে তদন্তকারীদের ধারণা হয়, তিনি নর্তকী বা ওই ধরনের কোনও পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঘটনার কিনারা করতে বাগুইআটি-সহ বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা হয়, তরুণীর বাড়ি কাছাকাছি কোনও এলাকায় নয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, একই নামের দু’জন তরুণীর হদিস পেয়েছে তারা। তা নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মধ্যে এক জন নিখোঁজ। বাগুইআটিতে উদ্ধার দেহটি তাঁরই কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রহস্য উদ্ঘাটনে মঙ্গলবার রাতভর বিধাননগর পুলিশের একাধিক দল বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছে। সোমবার রাতে যারা দেহটি ওই গলির ভিতরে ফেলে গিয়েছিল, তারা এলাকা সম্বন্ধে সচেতন বলেই মনে করছে পুলিশ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)