Advertisement
E-Paper

বসিরহাটে যাওয়ার পথে বিরোধীদের রুখল পুলিশ

নেতাদের আনাগোনা রুখতে এ দিন সকাল থেকেই তৎপর ছিল জেলা প্রশাসন। বাম দলকে আটকে দেওয়া হয় অশোকনগরে। সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম, তন্ময় ভট্টাচার্যরা অন্য পথে বসিরহাটে ঢোকার চেষ্টা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০৫:০১
হাতে-হাত: স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় পুলিশের। শুক্রবার বসিরহাটে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

হাতে-হাত: স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় পুলিশের। শুক্রবার বসিরহাটে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

বসিরহাটে যাওয়ার পথে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় আটকে দিল জেলা পুলিশ-প্রশাসন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বিরোধী দলগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, বসিরহাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন সেখানে না যান। সেই আর্জি মানতে নারাজ বিরোধীরা। এ দিন পুলিশের ভূমিকাতেওর গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হল বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।

নেতাদের আনাগোনা রুখতে এ দিন সকাল থেকেই তৎপর ছিল জেলা প্রশাসন। বাম দলকে আটকে দেওয়া হয় অশোকনগরে। সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম, তন্ময় ভট্টাচার্যরা অন্য পথে বসিরহাটে ঢোকার চেষ্টা করেন। শাসনের কাছে কাচকলে ফের আটকানো হয় তাঁদের গাড়ি। পরে সেলিম বলেন, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে কাজিয়ায় জড়িয়ে অনেকটা সময় নষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ও দিকে গোলমাল আরও বেড়ে গেল।’’ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে শেঠপুকুরে থামিয়ে দেয় পুলিশ। অধীর বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী শান্তি ফেরাতে পারছেন না। আমরা বসিরহাটে যেতে চাইলে আমাদেরও যেতে দিচ্ছেন না।’’

আরও পড়ুন:স্ট্রোকে অসাড়, উদ্বেগ কাটিয়ে মা হলেন ঝুমা

মাইকেলনগরের কাছে আটকানো হয় বিজেপির রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্যদের। তাঁদের গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অশান্তি থামাতে সরকার যে বিরোধীদের সাহায্য চায় না, তা ফের প্রমাণ হল।’’ এর প্রতিবাদে আজ, শনিবার রাজ্য দফতর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘ধিক্কার মিছিল’ করবে বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষে মীনাক্ষী লেখি, সত্যপাল সিংহ এবং ওম মাথুরও কলকাতায় এসে বসিরহাট যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত না হলে বাইরে থেকে নেতারা আসুন, সেটা চাইছেন না বসিরহাটের মানুষও। তাঁদের অনেকের বক্তব্য, যারা ভাঙচুর চালায়, তাদের বেশিরভাগই অচেনা মুখ। নবান্নের কাছেও তথ্য এসেছে, যারা গোলমাল পাকিয়েছে, তাদের মধ্যে স্থানীয় লোকের সংখ্যা নগণ্য।

নবান্ন সূত্রে খবর, বিজেপি যে ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে, তা-ও বসিরহাটের নয়। এর সঙ্গে বসিরহাটের সম্পর্কই নেই। এ থেকেই নবান্নের ধারণা হয়েছে, সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকা থেকে লোক এনে পরিকল্পিত ভাবেই গোলমাল পাকানো হয়েছে। এ দিন মমতা বলেন, ‘‘বিজেপির কাজ বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে দাঙ্গা করা।’’

Baduria Violence Oppnent Party Leaders BJP CPM Hindu Muslim Congress মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায় লকেট চট্টোপাধ্যায় শমীক ভট্টাচার্য
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy