বৈঠকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে মঙ্গলবার।—নিজস্ব চিত্র।
বারাসত, মধ্যমগ্রাম, সোদপুর, পানিহাটি-সহ ব্যারাকপুরের বিভিন্ন এলাকায় লো-ভোল্টেজের সমস্যা মেটাতে মহিষপোতা সাবস্টেশন থেকে লাইন টানার ক্ষেত্রে যাবতীয় জটিলতা দ্রুত কাটাতে চান বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই ব্যাপারে এক বৈঠকের পরে তিনি জানিয়ে দেন, জমি নিয়ে অযৌক্তিক কোনও দাবি মেনে নেওয়া হবে না। এটা মাথায় রেখেই দ্রুত সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের কাছে মহিষপোতা এলাকায় কয়েক বছর ধরে একটি সাবস্টেশন তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেটি চালু করা যাচ্ছে না জমি-জটিলতায়। কৃষিজমির উপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানার ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিপুল টাকা দাবি করেছে কয়েকটি কৃষক পরিবার। মঙ্গলবার বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে এলাকার বিধায়ক তথা মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ-সহ স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন শোভনদেববাবু। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট কৃষক পরিবারগুলির প্রতিনিধি-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে দিয়েছি, অযৌক্তিক কোনও দাবি মেনে নেওয়া যাবে না। যাঁরা দাবি যুক্তিযুক্ত হবে, তাঁদের আইন মোতাবেক সরকারি সুযোগ-সুবিধে দেওয়া যেতে পারে।’’ বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা একটি কমিটি তৈরি করেছেন। সরকারের প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে, ওই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ১৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। ওখানকার সাবস্টেশনের জমি-জট খুব শীঘ্রই কেটে যাবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী।
রাজ্যের অনেক জায়গাতেই শিল্প এবং উন্নয়নের কাজে জমি খুব বড় সমস্যা। মধ্যমগ্রামের সাবস্টেশন তৈরির পরে সংবহন লাইন টানার মুখেই শুরু হয় জমি-সমস্যা। জেলা প্রশাসনের খবর, এ দিনের বৈঠকে মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, উন্নত বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতেই মহিষপোতা সাবস্টেশন তৈরি করা হয়েছিল। কারও ন্যায্য দাবি থাকলে সরকার নিশ্চয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। তাতেও মানুষ সন্তুষ্ট না-হলে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটিই বাতিল করে দিতে হবে। সে-ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিদ্যুৎ পরিষেবার মান উন্নয়নের যে-পরিকল্পনা হয়েছে, তা ব্যাহত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy