Advertisement
E-Paper

বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠকে কর্তৃপক্ষ-অধ্যক্ষ বিরোধ

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কিছু কলেজে স্নাতকোত্তর কোর্স রয়েছে। তাই এ দিন কলেজে স্নাতকোত্তর কোর্সগুলির পরীক্ষা নিয়েও আলোচনা হয়। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০২:২৬

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নিয়ে আলোচনায় কলেজের ভূমিকা সংকোচনের প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিরোধ বাধল অধীনস্থ কলেজের এক অধ্যক্ষের।

স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্যই বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে আলোচনায় বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষকদেরও আসতে বলা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কিছু কলেজে স্নাতকোত্তর কোর্স রয়েছে। তাই এ দিন কলেজে স্নাতকোত্তর কোর্সগুলির পরীক্ষা নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, প্রাথমিক প্রশ্নপত্র তৈরিতে কলেজের ভূমিকা থাকলেও প্রশ্নপত্র মডারেশনে কলেজের প্রতিনিধি থাকবেন না। মডারেশনের কাজ করবেন কলকাতা এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তবে প্র্যাকটিকাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে কলেজগুলিতে বহিরাগত শিক্ষক থাকবেন। আলোচনায় উঠে আসে, স্নাতকোত্তর উত্তরপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই দেখবেন। কিন্তু কলেজের স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের উত্তরপত্র দেখবেন অন্য কলেজের শিক্ষকেরা।

সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষের কথায় আপত্তি জানান অধীনস্থ কলেজের এক অধ্যক্ষ। তিনি সরাসরি উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক করকে জানান, এই পদ্ধতি চালু হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বৈষম্য প্রকট হবে। সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্তই বলবৎ করতে চাইছেন তাঁরা। কারণ কলেজগুলিকে অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ই। কর্তৃপক্ষের তরফে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর কলেজশিক্ষকের ‘কৌলীন্য’ এক নয়। এর পরেই পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কিন্তু সে কথা বলছে না। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষকদের কৌলীন্য একই।

বৈঠকে আরও বলা হয়, পরীক্ষা হবে হোম সেন্টারেই। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কলেজগুলিতে হোম সেন্টার না রাখার দিকেই এগোচ্ছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত গত জুলাইয়ে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষরা সরব হয়েছিলেন।

বৈঠকে উপস্থিত এক শিক্ষক বলেন, ‘‘পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তাকে সক্রিয় হতে দেখা যায়।’’ পরে উপাচার্য জানান, ওই অধ্যক্ষ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে উত্তর দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছিল, অধ্যক্ষদের বৈঠকে ডাকা হয়নি। তা সত্ত্বেও ওই অধ্যক্ষ এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদেরই আসতে বলা হয়েছিল। ওই অধ্যক্ষ নিজে ভূগোল স্নাতকোত্তরের শিক্ষিকা।

University of Calcutta UGC Academics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy