Advertisement
E-Paper

বন্দি-কারারক্ষী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হুগলি জেল, মূল দরজায় আগুন

প্রথমে নেপুর শাগরেদদের তাণ্ডব, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। পরে অন্য কয়েদিদের পাল্টা হামলা, মারপিট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ২১:৪৫
কারারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হুগলি জেল। প্রতীকী ছবি।

কারারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হুগলি জেল। প্রতীকী ছবি।

কুখ্যাত দুষ্কৃতী নেপু গিরিকে পৃথক সেলে রাখার নির্দেশকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাধল হুগলি জেলে।

প্রথমে নেপুর শাগরেদদের তাণ্ডব, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। পরে অন্য কয়েদিদের পাল্টা হামলা, মারপিট।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিপদ ঘণ্টা বাজিয়ে দেওয়া হয়। খবর যায় পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের কাছে। পুলিশ নামলে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। সংঘর্ষের জেরে অন্তত আট জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মেন গেটে আগুন থাকায় প্রথমে ভিতরে ঢুকতে পারেনি পুলিশ বাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হয় জেলে।

সম্প্রতি প্রচুর পরিমাণ মাদক-সহ নেপুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুন, প্রোমোটারদের থেকে তোলাবাজি, ব্যাঙ্ক ডাকাতি-সহ ২০-২২টি মামলায় অভিযুক্ত নেপু। বুধবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। হুগলি জেলে আগেও দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই নেপুকে তার শাগরেদদের থেকে দূরে পৃথক সেলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:

জাল নোটে অভিযুক্ত কি নাবালক, ফের প্রশ্ন

ভোটের আগে সংঘর্ষে উত্তপ্ত উলুবেড়িয়া

নেপুকে বিচ্ছিন্ন ভাবে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে বলে খবর পেয়েই জেল প্রশাসনকে পাল্টা চাপে ফেলার কৌশল নেয় তার শাগরেদরা। অশান্তি বাধানো হয় জেলের অন্দরে। ভাঙচুর শুরু হয়ে যায়। তছনছ করা হয় জেলের আসবাব। জেলে ঢোকা বা বেরনোর মূল দরজাটিতেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় কারারক্ষীদের।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছে হুগলি জেলা সংশোধনাগারে। জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার (চন্দননগর কমিশনারেট) অজয় কুমার।

Hooghly Jail Clash Fire হুগলি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy