মুকুল রায়ের ছায়াসঙ্গীর ভাইকে গাঁজা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতারের রেশ কিছুতেই কাটছে না। প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষক শুভজিৎ মাহাতোর গ্রেফতারি নিয়ে এলাকার অনেকের ক্ষোভ ছিলই। রবিবার তাঁরা শুভজিতের সুবিচার চেয়ে পথে নামলেন। মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে চাষমোড়ে তাঁরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। পুরুলিয়া মফস্সল থানার গাড়াফুসড় পঞ্চায়েত সংলগ্ন মাঠে ধিক্কার সভাও করেন তাঁরা। সেখানে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ওঠে।
সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন পুরুলিয়া নাগরিক কমিটির ব্যানারে ওই মিছিল হলেও, সেখানে যেমন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে দেখা গিয়েছে, তেমনই পা মিলিয়েছেন কলেজ পড়ুয়া থেকে সাধারণ গৃহবধূও। দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গিয়েছে এলাকার কিছু ব্যবসায়ীকেও। যদিও পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস আগেই জানিয়েছেন, গাঁজা পাচারের সময় হাতেনাতেই শুভজিৎকে ধরা হয়। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘সভার কথা জানি না।’’
গত ২৯ নভেম্বর ভোরবেলায় মুকুল রায়ের ছায়াসঙ্গী সুরজিৎ মাহাতোর ভাই স্থানীয় বাঁধডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শুভজিৎকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া মফস্সল থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি ছিল, পুরুলিয়া-রাঁচি রাস্তায় নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে নম্বর প্লেটহীন একটি মোটরবাইকে শুভজিৎ ও ধানবাদের পাথরডি-র উমেশ মাহাতোকে ২৩ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা-সহ গ্রেফতার করে। যদিও তাঁর পরিবারের দাবি, ভোরে পুলিশ এসে দরজা ঠকঠক করে শুভজিতের ডাকনাম ধরে জানতে চেয়েছিল, তিনি বাড়িতে রয়েছেন কি না। তাঁর স্কুলে চুরি হয়েছে জানিয়ে বাড়ির লোকজনকে বলা হয়ে সেই ব্যাপারে থানার বড়বাবু তাঁর সঙ্গে আলাদা কথা বলবেন। তারপরেই শুভজিৎকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায় পুলিশ। শুভজিতের বাবার দাবি, পাচার তো দূরের কথা, তাঁর ছেলে গাঁজা দেখলে চিনতেও পারবেন না। মুকুল রায়-যোগ থাকার জন্যই মিথ্যা অভিযোগে শুভজিৎকে ধরা হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা।