Advertisement
E-Paper

থুপসড়ায় সিপিএম কর্মী খুনে ধৃত চার

সিপিএম কর্মী খুনের অভিযোগে চার জনকে ধরল পুলিশ। মঙ্গলবার নানুরের থুপসড়া দাসপাড়ার বাসিন্দা দোলন দাসকে গ্রামেরই মুসলিম পাড়ায় মোটরবাইক থেকে নামিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দোলন একসময় তৃণমূলেরই দাপুটে নেতা ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৮

সিপিএম কর্মী খুনের অভিযোগে চার জনকে ধরল পুলিশ।

মঙ্গলবার নানুরের থুপসড়া দাসপাড়ার বাসিন্দা দোলন দাসকে গ্রামেরই মুসলিম পাড়ায় মোটরবাইক থেকে নামিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দোলন একসময় তৃণমূলেরই দাপুটে নেতা ছিলেন। ২০০৩ সালে তৃণমূলের টিকিটে থুপসড়া পঞ্চায়েতের সদস্যও নির্বাচিত হন। ওই সময় বিধানসভার প্রার্থী হিসাবেও তাঁর নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সেই কারণের পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ২০০৫ সালে দল বদল করে যোগ দেন সিপিএমে। ২০০৮ সিপিএমের টিকিটে নানুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্থানীয় বাসাপাড়া পার্টি অফিসে ফের তৃণমূলে নাম লেখান। কিন্তু গোপনে তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা কাজল সেখের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিপিএম প্রার্থীর হয়ে ভোট করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে তার। অভিযোগ, পার্টি অফিস করার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতারা নাকি দোলন এবং তাঁর ভাগ্নের পাশ বই কিছু টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। সেই টাকা দোলন দাস তাঁদের তুলে দেননি। নিহতের স্ত্রী চন্দনাদেবীর দাবি, সেই কারণেই তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। তিনি ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের মধ্যে গোলাপ সেখ, বরজাহান সেখ, ঝিল্লু সেখ এবং সোনাই সেখকে গ্রফতার করেছে পুলিশ। এ দিন তাঁদের বোলপুর আদালতে তোলা হয়।

সরকারি আইনজীবি ফিরোজ কুমার পাল জানান, পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আর্জি জানায়। এসিজেএম রাজেশ গুহরায় তাঁদের ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতরা তৃণমূলেরই কর্মী বলে দলেরই একটি সূত্রে জানানো হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, ধৃত এবং অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন ১০০ কাজের সুপারভাইজারও রয়েছেন। সিপিএমের স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আনন্দ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজনৈতিক আক্রোশের বশেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মী দোলন দাসকে পিটিয়ে খুন করেছে।’’

তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরা অবশ্য রাজনৈতিক আক্রোশের কথা অস্বীকার করলেও ধৃত এবং অভিযুক্তদের দলীয় যোগাযোগের কথা উড়িয়ে দেননি।

তিনি জানান, এখন তো সবাই নিজেকে তৃণমূল বলে দাবি করে। তাই ধৃত এবং অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় কি তা খতিয়ে না দেখে বলতে পারব না। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

জলে ডুবে। বাড়ির পাশে পুকুরের জলে পড়ে মৃত্যু হল বছর দেড়েকের এক শিশুকন্যার। সোমবার সন্ধ্যায় সাঁইথিয়ার নেতুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, শিশুটির নাম পল্লবি পোদ্দার। ওই দিন বেলা ১০টা নাগাদ, বাড়ির সবাই কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পল্লবি সমবয়সী বাচ্চাদের সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। কিছুক্ষণ পরে পল্লবির মা দেখেন, অন্যান্য বাচ্চারা খেললেও তাঁর মেয়ে সেখানে নেই। সঙ্গে সঙ্গে পুকুর ও গ্রামের সর্বত্র খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু সন্ধান মেলেনি। বিকেলে বাড়ির পাশের পুকুরে তার দেহ ভেসে ওঠে। সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা শিশুটি মৃত বলে জানান। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ময়না-তদন্তের পর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

cpm murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy