ঘর ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে কাজ করতে গিয়ে ‘অপারেশন মুসকান’-এ ফের ধরা পড়ল পুরুলিয়ার সাত কিশোর। রাঁচি থেকে সোমবার রাতে সাত জনকেই পুরুলিয়ায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
জেলা সমাজ কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সাত কিশোরকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে তারা সকলেই শিশু শ্রমিক। তাদের বাড়ি আড়শা, কেন্দা ও ঝালদা থানা এলাকায়। এরা রাঁচির বিভিন্ন হোটেল, ধাবা, খাবারের দোকানে কাজ করছিল। জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের অন্যতম প্রতিনিধি অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত, ‘‘অভাবের তাড়নায় এই শিশুরা ওই কাজ বেছে নেয়। মাসখানেক আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অপারেশন মুসকান অভিযানে এদের আটক করা হয়।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের এই অভিযানে সমাজকল্যাণ দফতর, পুলিশ, শ্রম দফতর, চাইল্ড লাইন মিলিত ভাবে শিশু শ্রমিকদের উদ্ধার করতে এই অভিযান চালায়।
পুরুলিয়ার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক শিশির মাহাতো জানান, ঝাড়খণ্ডের সমাজকল্যাণ দফতর থেকে পুরুলিয়ার বিভিন্ন থানার সাত শিশু শ্রমিককে আটক করার কথা জানানো হয়। এরপর তাঁরা সকলের নাম ঠিকানা জেনে কিশোরদের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবং ঝাড়খণ্ডের সমাজকল্যাণ দফতরে রিপোর্ট পাঠান। তত দিন, অর্থাৎ মাসখানেক এরা রাঁচির একটি হোমে ছিল। সোমবার রাতে কিশোরদের পুরুলিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে এসে বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কেন্দার জামবাদ গ্রামের কিশোর বৃহস্পতি মাহাতোর দাদা প্রদীপ মাহাতো জানান, রাঁচিতে তাদের দোকান রয়েছে। ভাই সেখানেই কাজ করত। এই থানারই বানসা গ্রামের নিতাই মাহাতোর বাবা মথুর মাহাতো জানান, পারিবারিক অনটনের কারণে বাইরে কাজে গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy