নেশাগ্রস্ত এক যুবককের চিকিৎসা করতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হল ১ চিকিৎসক-সহ ৩ জনকে। বীরভূমের সিউড়ি সদর হাসপাতালের পুলিশ সেলে রেখে ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ করে বসেন ওই রোগী। চিকিৎসক ছাড়াও ১ নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্তব্যরত ১ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন ওই আক্রমণে।
নেশার বস্তু সেবনের অভিযোগে পরশু সিউড়ি থেকে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করে। অসুস্থ থাকায় তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালের পুলিশ সেলে রেখে চিকিৎসা চলছিল। সেখানে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অভিষেক রায় এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জিষ্ণু ভট্টাচার্যের অধীনে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রোগী শুক্রবার রাত্রে হঠাৎই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে জিষ্ণু এবং অভিষেক দ্রুত পুলিশ ওয়ার্ডে পৌঁছে যান। সেখানে ওই যুবককে ওষুধ দিতে গেলে ঘুরে চিকিৎসকদেরই আক্রমণ করে বসেন তিনি। চিকিৎসক এবং অন্যদের লক্ষ্য করে কাচের টুকরো, লোহার জিনিস-সহ হাতের সামনে যা পেয়েছেন ছুড়তে শুরু করেন। কাচ গিয়ে লাগে জিষ্ণুর মুখে। আহত হন হাসপাতালের ১ নিরাপত্তারক্ষী এবং ১ কর্তব্যরত পুলিশকর্মীও।
আরও পড়ুন:
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সেলের ভিতর কাচের জানালা রয়েছে। সেই জানালার ভাঙা কাচই ছোড়া হয় চিকিৎসক ও অন্যদের লক্ষ্য করে। আহত চিকিৎসক জিষ্ণু বলেন, “চিকিৎসা করতে গিয়ে যদি এ ভাবে আহত হতে হয় তা হলে পরিষেবা দেওয়াই মুশকিল।” ভবিষ্যতে যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে জন্য সতর্ক থাকার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।