রামপুরহাটের পরে সিউড়িও।
জেলা বাসমালিক সমিতির জেলা সদর শাখাও চলে এল শাসকদল তৃণমূলের ছত্রছাত্রায়। বৃহস্পতিবার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই পরিবর্তন হয়। প্রায় ৪৫ বছরের পুরনো এই অরাজনৈতিক সংগঠনের চরিত্র বদলের সূচনা হয়েছিল রামপুরহাটে। দু’দিন আগের ওই অনুষ্ঠানেই তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিল, ধীরে ধীরে গোটা সংগঠনটিই তাঁদের ছত্রছায়ায় চলে আসবে। আর তার পরেই এ দিন বিকেলের অনুষ্ঠানের পরে সংগঠনের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সূচনা হল বলে জানিয়েছে তৃণমূল। পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকায় ওই অনুষ্ঠানে জেলার সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, সিউড়র বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জেলার প্রায় তিনশোরও বেশি বাসমালিকও। আগামী দিনে বোলপুর, সাইথিয়াতেও এই সভা হবে বলে জানান সংগঠকেরা।
সংগঠনের পক্ষে এ দিন তন্ময় পৈতণ্ডী জানান, দখলদার উচ্ছেদ না হলে বর্তমান বাসস্ট্যান্ডে বাস চলাচল করা খুবই সমস্যার। তাঁর অভিযোগ, ‘‘অধিকাংশ স্থায়ী দোকানদার নিজেদের দোকানের বাইরে আরও ১০-১৫ ফুট করে জায়গা বেআইনি ভাবে অন্য দোকানকে ভাড়া দিয়েছেন। তার জেরে বাসের আসা-যাওয়ার রাস্তার পরিসর ক্রমাগত ছোট হয়ে আসছে।’’ জেলা সদরের ওই বাসস্ট্যান্ডের মানোন্নয়নের আশ্বাস অবশ্য দিয়েছেন অনুব্রত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জেলাশাসক উপযুক্ত জমি দিলেই আধুনিক বাস টার্মিনাস তৈরির কাজে হাত দেওয়া হবে।’’ নতুন বাসস্ট্যান্ডে বাসের যাতায়াতের প্রশস্থ জায়গা, পরিশ্রুত পানীয় জল,শৌচাগার, যাত্রী শেড, উন্নতমানের যাত্রী নিবাস, বাস ড্রাইভার ও কর্মীদের থাকার আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ওই তৃণমূল নেতা।