সড়বড়িতে। নিজস্ব চিত্র
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে ‘দুয়ারে ডাক্তার’ শিবির শেষ হওয়ার পরেই পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও এমন শিবির হবে। বৃহস্পতিবার নিতুড়িয়ার সড়বড়ির কমিউনিটি হলে ‘দুয়ারে ডাক্তার’ শিবিরে এ কথা জানান পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা। তিনি বলেন, ‘‘জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ‘দুয়ারে ডাক্তার’ শিবির করার নির্দেশ রয়েছে। নিতুড়িয়া, বাঘমুণ্ডি ও বান্দোয়ানে তিন দিন শিবির হচ্ছে। পরের ধাপে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নিয়ে জেলার অন্য প্রত্যন্ত এলাকায় আরও এ ধরনের শিবির হবে।” শিবিরে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কুণালকান্তি দে-সহ স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকেরা।
ঘটনা হল, দিন কয়েক আগে, পুরুলিয়ার হুটমুড়ায় প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়া মেডিক্যালের চিকিৎসকদের জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে রোগী দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ দিন নিতুড়িয়ার শিবিরে পাঁচশোর কিছু বেশি রোগী এসেছিলেন। ভাল ভিড় ছিল শিশু বিভাগ। এন্ড্রোক্রোনোলজি বিভাগেও ভাল সংখ্যায় রোগী দেখা গিয়েছে। বিডিও (নিতুড়িয়া) অজয়কুমার সামন্ত জানান, পাঁচ বিভাগ মিলিয়ে ৫০৪ জন রোগী শিবিরে এসেছিলেন।
তবে এ ধরনের শিবিরে আরও কিছু বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে সুবিধা হত বলে জানিয়েছেন শিবিরে আসা রোগীদের পরিবারের লোকজন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নিয়ে পরের ধাপে করা শিবিরগুলিতে আরও কিছু বিভাগের বিশেষজ্ঞদের রাখা হবে।”
শিবিরে থাকা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শিবমকুমার ঝা জানান, মূলত সর্দি ও জ্বর নিয়ে বেশি শিশুরা এসেছিল। তিনি বলেন, “দেখা যাচ্ছে, এখানে শিশুদের পরিচর্যায় সচেতনতার কিছু অভাব রয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। যে কারণে পেটের রোগ বা ঠান্ডা লাগার সমস্যাগুলি বেশি দেখা যাচ্ছে।” হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সাগরজ্যোতি রায় জানান, এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা একটু বেশিই দেখা গিয়েছে। এ দিন শিবির থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy