Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Bidyut Chakrabarty

Visva Bharati-Bidyut: ২ বছর পর সংবাদিকদের মুখোমুখি বিদ্যুৎ, বিশ্বভারতীর অবনমন ঠেকাতে শীঘ্রই একগুচ্ছ পদক্ষেপের দাবি

শুক্রবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবনমনের কারণ নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিদ্যুৎ।

সংবাদিকদের মুখোমুখি উপাচার্য বিদ্যৎ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

সংবাদিকদের মুখোমুখি উপাচার্য বিদ্যৎ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৩২
Share: Save:

তাঁকে ঘিরে কম জলঘোলা হয়নি। তবে সাম্প্রতিক অতীতে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতে দেখা যায়নি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। তবে শুক্রবার প্রায় দু’বছর পর সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। বিশ্বভারতীর অবনমন ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হবে বলেও দাবি করলেন বিদ্যুৎ। বিশ্বভারতীতে যে বিষয়গুলিতে অবনমন হয়েছে, সেগুলি শুধরোনোর দিকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোর দেবেন বলে দাবি তাঁর।

শুক্রবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবনমনের কারণ নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিদ্যুৎ। উপাচার্য ছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো-সহ অন্যান্য আধিকারিক।

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে কম বিতর্ক হয়নি। বিদ্যুতের পদত্যাগ চেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এখনও আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। তবে দীর্ঘদিন সংবাদমাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি বিদ্যুৎকে। যদিও প্রায় দু’বছর পর শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অবনমনের কারণ নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের যে পদ্ধতিতে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মান নির্ধারণ করে সেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ বা ‘নাক’)-এর মাপকাঠিতে বিশ্বভারতীর মান নেমে ৯৭তম স্থানে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৫০ থেকে ১৪ ধাপ নেমে বিশ্বভারতীর স্থান হয়েছে ৬৪তম। দেশের শিক্ষাবিদদের একাংশের ধারণায় (পিয়ার পারসেপ্সন), ১০০এর মধ্যে ১০.৪২ থেকে কমে ৬.২২ নম্বর পেয়েছে বিশ্বভারতী। এ ছাড়া, এফএসআর (ফ্যাকাল্টি-স্টুডেন্ট রেশিও বা শিক্ষক-পড়ুয়া অনুপাত) বিভাগেও অবনমন ঘটেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। শেষ বার ৩০-এর মধ্যে ২৪.১৩ পেয়েছিল বিশ্বভারতী। তবে চলতি বছর তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৬.৫১-তে। সামগ্রিক ভাবে বিশ্বভারতীর এই অবনমনে প্রাক্তন পড়ুয়া-সহ শান্তিনিকেতনে আশ্রমিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন উপাচার্য। এই অবনমনের বিষয় পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর আধিকারিকেরা।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কোথায় কোথায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নম্বর কমেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। এফএসআর-এ নম্বর কম পাওয়ার কারণ হিসাবে ২০১৪ সালের পর থেকে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়াকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ২০০ শিক্ষকের শূন্য পদ রয়েছে বলে জানিছেন তাঁরা। সেগুলো পূরণ করার বিষয়েও অতি শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE