Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

চাষিদের তালিকা নিয়ে ক্ষোভ, কৃষি দফতরে বিক্ষোভ

চাষিদের তালিকা নিয়ম মেনে হয়নি, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুঞ্চায় কৃষি দফতরের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল। বিকেল পর্যন্ত দফতরে আটকে থাকলেন কর্মীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুঞ্চা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৬ ০৭:০২
Share: Save:

চাষিদের তালিকা নিয়ম মেনে হয়নি, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুঞ্চায় কৃষি দফতরের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল। বিকেল পর্যন্ত দফতরে আটকে থাকলেন কর্মীরা। এ দিকে ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের পুঞ্চা ব্লক যুব সভাপতি দুলাল দত্ত-সহ শাসকদলের কিছু কর্মীর। তবে পুঞ্চা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মাহাতোর দাবি, ‘‘দু’পক্ষের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তার বেশি কিছু নয়। সে সব মিটে গিয়েছে।’’

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুঞ্চায় প্রদর্শনমূলক ধান চাষের জন্য কৃষি দফতর সহভাগী চাষিদের নামের তালিকা তৈরি শুরু করেছে। যে বীজে চাষ হবে সেটি খরা সহনশীল। কম জলে চাষ হয়। চাষের জন্য বীজ, সার, অনুখাদ্য, ঘাস মারার ওষুধ— দফতর থেকে সব বিনামূল্যে সহভাগী চাষিদের দেওয়া হবে।

দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুলালবাবুর সঙ্গে কয়েক জন চাষি কৃষি দফতরে আসেন। তাঁরা তালিকায় নিজেদের নাম দেখতে না পেয়ে চটে যান। এর পরেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কৃষি দফতরের কর্তাদের কথাকাটাকাটি হয়। তার পরেই তৃণমূল কর্মীদের একাংশ অফিসের সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন বলে অভিযোগ।

দুলালবাবুর অভিযোগ, ব্লক কৃষি অধিকর্তা প্রভুদয়াল মাহাতো প্রকৃত চাষিদের বঞ্চিত করে নিজের খুশি মতো তালিকা বানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ধাদকি গ্রামের কয়েকজন চাষি তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।’’ যদিও প্রভুদয়ালবাবুর দাবি, তালিকা তৈরি হয়েছে নিয়ম মেনেই। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন কৃষি প্রদর্শনীতে পুরস্কার পাওয়ায় যে সমস্ত চাষিরা কৃষি দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তাঁদের নাম তালিকায় রয়েছে। তালিকা তৈরির সময় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মতামতও নেওয়া হয়েছিল।’’ তাঁর অভিযোগ, কথাবার্তা চলাকালীন দুম করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী বিডিও, পুলিশ বা জেলা সদরের কর্তাদের সঙ্গে তাঁকে যোগাযোগও করতে দেওয়া হয়নি।

খবর পেয়ে বিডিও (পুঞ্চা) অজয় সেনগুপ্ত ব্লক কৃষি অধিকর্তাকে ডেকে পাঠান। তখন তালা খুলে তাঁকে ব্লক দফতরে যেতে হওয়া হয়। সেখানে বিডিও দুলালবাবু এবং প্রভুদয়ালবাবুকে নিয়ে বৈঠক করেন। তবে বিডিওকে বৈঠকে যেতে দেওয়া হলেও দফতরের কর্মীরা তখনও তালাবন্দিই ছিলেন। বিডিও (পুঞ্চা) বলেন, ‘‘কৃষি বিভাগের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মাহাতো ও এডিও-র সঙ্গে বৈঠক করেছি। পঞ্চায়েত সমিতির মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি মিটে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Farmer Aggitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE