Advertisement
E-Paper

নিগ্রহে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক 

জেলা শিক্ষা দফতরে দায়ের করা অভিযোগপত্রে মনোজবাবু। তিনি লিখেছেন, সে দিন স্কুলে সপ্তম পিরিয়ড শেষে এক শিক্ষক অন্য শিক্ষকদের হাতে একটি করে খাতা দেন।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:২৮
Share
Save

এক সহ-শিক্ষককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারির এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়েছে পুরুলিয়ার ঝালদার জারগো উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে। ‘নিগৃহীত’ শিক্ষক মনোজকুমার মণ্ডল ইতিমধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভূতনাথ মাহাতোর শাস্তি চেয়ে জেলা শিক্ষা দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও অভিযুক্তের দাবি, সে দিন কথা কাটাকাটি হলেও নিগ্রহের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’।

জেলা শিক্ষা দফতরে দায়ের করা অভিযোগপত্রে মনোজবাবু। তিনি লিখেছেন, সে দিন স্কুলে সপ্তম পিরিয়ড শেষে এক শিক্ষক অন্য শিক্ষকদের হাতে একটি করে খাতা দেন। খাতাটিকে শিক্ষকদের ‘ডায়েরি’ হিসাবে ব্যবহার করতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আর এক শিক্ষকের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। তখন যিনি খাতা দিতে এসেছিলেন তিনি প্রধান শিক্ষকের ঘরে চলে যান। তার কিছুক্ষণের মধ্যে প্রধান শিক্ষক সেখানে আসেন। সঙ্গে ছিলেন সেই শিক্ষকও। প্রধান শিক্ষকের সামনেই তিনি আর এক শিক্ষককে হুমকি দিতে শুরু করেন। তখন হস্তক্ষেপ করেন মনোজবাবু।

অভিযোগপত্রে মনোজবাবু লিখেছেন, ‘আমি তাঁকে (যিনি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ) প্রশ্ন করি, কেন তিনি ওই ভাবে এক জন সহ শিক্ষককে হুমকি দিচ্ছেন। ওই সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে বলেন, ‘আমি পার্টিবাজি করছি’। এরপর তিনি আমাকে ধাক্কা দেন। আমি পড়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে সাসপেন্ড করার হুমকিও দেন।’’

ঘটনার পরদিন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুরুলিয়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মনোজবাবু। অভিযোগপত্রে সাক্ষী হিসাবে ছয় জনের সই রয়েছে। পাশাপাশি, মনোজবাবু পুলিশকেও ঘটনার কথা জানিয়েছেন।

সোমবার ভূতনাথবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘শুধু সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’ শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক মাঝেমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করেন। যদিও সে অভিযোগওঔ উড়িয়ে দিয়েছেন ভূতনাথবাবু।

পুরুলিয়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পীযুষকান্তি বেরা বলেন, ‘‘অভিযোগ হাতে এলে নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হবে।’’ মনোজবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি জেলা শিক্ষা দফতর এবং পুলিশকে জানিয়েছি। আশা করি, বিচার পাব।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

High School Headmaster

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}