পুরুলিয়া ১ ব্লকের পরে এ বারে কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি পঞ্চায়েত। শস্যবীজ বিলি নিয়ে ফের দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।
রবি মরসুমে চাষিদের খেসারি, কলাই, ভুট্টা প্রভৃতি শস্যের বীজ সরবরাহ করে কৃষি দফতর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি পঞ্চায়েত ১২ প্যাকেট খেসারি, ৬ প্যাকেট কলাই ও ৩ প্যাকেট ভুট্টার বীজ পেয়েছে। প্রতি প্যাকেটে চার কেজি করে বীজ থাকে। ইন্দ্রবিল গ্রামের সমর বাউরি, দুলাল বাউরি, প্রদীপ বাউরিদের মতো কিছু চাষির অভিযোগ, তাঁরা বীজ পাননি। এই মর্মে পঞ্চায়েতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
পুরুলিয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সদস্যের সুপারিশ নিয়ে গিয়ে বীজ না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন এলাকার কিছু চাষি। সে যাত্রায় সিপিএম শুধু জানিয়েছিল, বীজ বিলির গোটা ব্যাপারটাই তাঁদের সদস্যদের অন্ধকারে রেখে হয়েছে। মাঠে নেমে প্রতিবাদ করেনি। এ বারে অবশ্য প্রতিবাদ করতে দেখা গেল ওই এলাকার সিপিএম কর্মী সমর্থকদের। বীজ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এলাকায় পোস্টার সেঁটেছেন তাঁরা।
সিপিএমের অভিযোগ, ইন্দ্রবিল এলাকার কয়েকটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সামান্য কিছু বীজ দিয়ে বিলিবন্টন শেষ করে দেওয়া হয়েছে। আরও অভিযোগ, বীজ পাওয়া অধিকাংশ স্বনির্ভর গোষ্ঠীই চাষ করে না। পশুপালন বা মিড-ডে মিল রান্নার কাজ করে। সিপিএমের গৌরাঙ্গডি লোকাল কমিটির সদস্য সোমনাথ দুবে বলেন, ‘‘স্বনির্ভর দল বীজ পাচ্ছে বলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি দলকে বীজ দেওয়া হয়েছে। এলাকার প্রায় কোনও চাষিই বীজ পাননি।” সিপিএমের অভিযোগ, যতগুলি প্যাকেট এসেছে তার পুরোটা আদৌ বিলি করা হয়নি।
তবে পঞ্চায়েতের নির্দল প্রধান সারথি বাউরি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েতে বীজ আসার পরেই প্রতিটি গ্রাম সংসদ এলাকার সদস্যদের বীজ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তৃণমূলের তপন হালদার বলেন, ‘‘বীজ না পাওয়ার অভিযোগ জানানোর পরেই আমরা ইন্দ্রবিল এলাকায় খোঁজ নিয়েছি। জানতে পেরেছি, বিধি মেনেই ওখানে চাষিদের বীজ বিলি করা হয়েছে।” তাঁর দাবি, যতটা বীজ এসেছে তার মধ্যে থেকে সমস্ত চাষিকে বীজ দেওয়া সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy