লাভপুর থানা ঘেরাও। নিজস্ব চিত্র।
গ্রামের বাইরে যেখানে করোনা রোগীদের দেহ সৎকার হয় সেখানে কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না। লাভপুরের কুলি গ্রামে সৎকারের পরে বিভিন্ন সামগ্রী এমনকী মৃতদেহের পোড়া অংশও পড়ে থাকে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এ নিয়ে বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষে পর্যন্ত জমতে থাকা ক্ষোভের মুখে ভাঙচুর হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ি। ঘেরাও হল লাভপুর থানা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ গ্রামের বাইরে যে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখান ঠিকঠাক নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে না। সৎকারের পরেও পড়ে থাকা দেহাংশ কুকুরে টেনে গ্রামের মধ্য নিয়ে আসছে। দিনের পর দিন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
বুধবার ফের একই অভিযোগ জানাতে গ্রামেরই এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে যান এলাকার মানুষ। কিন্তু সেই সিভিক ভলান্টিয়ার নাকি গ্রামবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “ওখনেই দেহ পোড়ানো হবে। কিছু করার নেই।” এর পরই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার একই অভিযোগ নিয়ে থানায় যান গ্রামবাসীরা। সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় লাভপুর থানা। চলে বিক্ষোভ।
কান্তিরাম বাগদি নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “গতকাল গ্রামে আরও একটি দেহ আনা হচ্ছিল। আমরা সবাই মিলে বাধা দিই। যাতে গ্রামে এ ভাবে দেহ পোড়ানো না হয় সে কথাই বলতে যাওয়া হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে। তিনি কোনও আবেদনই শুনতে রাজি ছিলেন না। উল্টে আমাদের হুমকি দেন। সেই কারণেই আমরা থানা ঘেরাও করেছি। আমরা চাই গ্রামে এভাবে দেহ পোড়ানো বন্ধ হোক।” গোটা বিষয় নিয়ে লাভপুর থানার কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy