থানায় পুলিশি মারধরে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে প্রতিবাদরত এলাকাবাসীর উপরে লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠল বুধবার পুরুলিয়ার আড়শায়। প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ হয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরতে বলেছিল পুলিশ। উল্টে, তাঁরা পুলিশকে ধাক্কা দেন। তখন সামান্য বলপ্রয়োগ করতে হয়। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ছ’জনকে ধরা হয়েছে।” ধৃতদের জেল হেফাজত হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, আড়শার নয়ামোড়ের বিষ্ণু কুমারকে মোবাইল চুরির মিথ্যা অভিযোগে ১৬ জুলাই থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। সে দিন ছেড়ে দেওয়া হলেও, পরে তিনি অসুস্থ হন। ১৯ জুলাই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মৃত্যু হয়। ময়না তদন্তের পরে দেহ নেয়নি পরিবার। ফের ময়না তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবে, জানিয়েছে তারা। পুলিশ সুপারের দাবি, অসুস্থ হয়ে নানা অঙ্গ নষ্ট হওয়ায় বিষ্ণুর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে। এ দিন ‘দোষী’ পুলিশের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে ১২ ঘণ্টা আড়শা বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন বাসিন্দারা।
বিজেপির জেলা নেতা গৌতম রায় জানান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তিনি মৃত যুবকের আত্মীয় এবং ধৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন যে দল পাশে রয়েছে। বন্ধ সমর্থকদের উপর লাঠি চালানোর নিন্দা করেছে এসইউসি-র যুব সংগঠন এআইডিওয়াই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজীবলোচন সরেন বলেন, “মানুষের কাছে আবেদন, প্ররোচনায় পা দেবেন না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)