Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
tourism

বাঁকুড়ার জঙ্গল, পাহাড়ে নয়া ট্রেকিং রুটের খোঁজে অভিযান প্রকৃতিপ্রেমী ১৬ জন অভিযাত্রীর

গত ৫ নভেম্বর ১৬ জনের একটি প্রশিক্ষিত অভিযাত্রী দল তাঁবু ফেলেন রানিবাঁধ থানার বাঁশকানালি গ্রামের কাছে । ৬ নভেম্বর থেকে ওই অভিযাত্রী দলটি প্রস্তাবিত রুট ধরে হাঁটতে শুরু করে।

পাহাড়ে নতুন ট্রেকিং রুটের খোঁজ।

পাহাড়ে নতুন ট্রেকিং রুটের খোঁজ। ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ২৩:২৬
Share: Save:

বাঁকুড়ার প্রসিদ্ধ বারো মাইল জঙ্গলে নতুন ট্রেকিং রুটের খোঁজে অভিযান চালালেন ১৬ জন অভিযাত্রী । গত ৫ নভেম্বর থেকে ওই অভিযাত্রীরা অভিযান শুরু করেন । মঙ্গলবার তাঁদের অভিযান শেষ হওয়ার কথা । জঙ্গল, পাহাড়ের পথে দীর্ঘ এই অভিযানে অভিযাত্রীরা নয়া ট্রেকিং রুটের খোঁজ করার পাশাপাশি ওই জঙ্গলে বিভিন্ন ধরনের বসবাসকারী প্রাণী ও উদ্ভিদের তথ্য সংগ্রহ করছেন । খতিয়ে দেখছেন ওই জঙ্গলের হোম স্টে-সহ অন্যান্য পর্যটন পরিকাঠামো তৈরির সম্ভাবনা ও স্থানীয় গ্রামের মানুষদের আর্থ সামাজিক পরিবেশ ।

উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বাঁকুড়ার পাশের জেলা পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিভিন্ন জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় ট্রেকিং রুট রয়েছে। কিন্তু শুশুনিয়ায় শৈলারোহণ ও বিহারিনাথে ট্রেকিংয়ের সুযোগ ছাড়া বাঁকুড়া জেলায় তেমন ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের’ সুযোগ নেই । ফলে প্রতি বছর শীতের মরসুমে রানিবাঁধ , মুকুটমণিপুর ও ঝিলিমিলি এলাকায় বেড়াতে যাওয়া প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের কিছুটা নিরাশ হতে হয় । এ বার পর্যটকদের সেই চাহিদা মেটানোর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হল।

সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে বারো মাইল জঙ্গলে সমীক্ষা করে মোটামুটি একটি প্রস্তাবিত রুট তৈরি করা হয়েছে । বন দফতরের অনুমতি নিয়ে বাঁকুড়ার একটি প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনের অভিযাত্রীরা সেই রুট ধরে তার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেন। সেই উদ্যেশ্যেই গত ৫ নভেম্বর ১৬ জনের একটি প্রশিক্ষিত অভিযাত্রী দল তাঁবু ফেলেন রানিবাঁধ থানার বাঁশকানালি গ্রামের কাছে । ৬ নভেম্বর থেকে ওই অভিযাত্রী দলটি প্রস্তাবিত রুট ধরে হাঁটতে শুরু করে। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পাহাড়ি জঙ্গল পথে হেঁটে সোমবার দলটির পৌঁছানোর কথা সুতানে । অরুপ পাত্র কর্মকারের নেতৃত্বে এই অভিযানে সংগৃহিত তথ্য বিশ্লেষণ করে আগামী দিনে এই ট্রেকিং রুটের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে বলে অভিযাত্রী দলের তরফে জানানো হয়েছে ।

অভিযানে অংশ নেওয়া প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনটির সম্পাদক মিলন পতি বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার রানিবাঁধ এলাকায় থাকা এই পাহাড়ি জঙ্গলের মতো অপূর্ব দৃশ্য ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র রাজ্যের আর কোথাও নেই । নির্দিষ্ট ট্রেকিং রুট না থাকায় এই অপরুপ শোভা দেখা থেকে এতদিন বঞ্চিত হচ্ছিলেন পর্যটকরা । আমরা এই অভিযানে সংগৃহীত তথ্যের উপর প্রস্তাবিত রুট নির্ধারণ করে বন দফতরের হাতে তুলে দেব। পাশাপাশিস এই অভিযানে স্থানীয় মানুষের আর্থ সামাজিক পরিবেশ , হিমাচল প্রদেশের আদলে হোম স্টের মাধ্যমে পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং এলাকায় প্রাণী ও উদ্ভিদের বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে । যা আগামীদিনে পর্যটন পরিকল্পনায় নতুন দিশা দেখাতে পারে।’’

বাঁকুড়া দক্ষিন বনবিভাগের ডিএফও ই বিজয় কুমার বলেন, “ দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম সেরা জঙ্গল বাঁকুড়ার বারো মাইল জঙ্গল । এই জঙ্গলে পর্যটনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে । প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনটির তরফে ট্রেকিং রুটের প্রস্তাব এলে সবদিক খতিয়ে দেখে অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tourism trekking bankura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE