—প্রতীকী চিত্র।
সংসার-যুদ্ধের শরিক তাঁরা অনেক দিন। এ বারে দলকে ভোট বৈতরণী পার করানোর গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন সরেন দম্পতি। পঞ্চায়েত ভোটে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের কমো গ্রাম থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন অনিলবরণ সরেন ও শিশুমণি সরেন। যথাক্রমে রানিবাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির ১৭ নম্বর আসনে ও রুদড়া পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর কমো বুথে প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা।
অনিল জানান, বছর কুড়ি আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পরে থেকে কমো গ্রামের বাসিন্দা তিনি। শ্বশুরবাড়ির প্রায় পাঁচ-ছ’বিঘা জমি রয়েছে। সামনে আমন চাষের মরসুম। তার মধ্য়ে সব দিক সামলে ভোট প্রচারে নজর দিতে হচ্ছে।
কেমন চলছে প্রচার? অনিল, শিশুমণিরা জানান, ভোর ৪টেয় ঘুম থেকে উঠে সংসারের যাবতীয় কাজ সামলে সকাল সাড়ে ৮টা-৯টার মধ্যে প্রচারে বেরিয়ে পড়ছেন তাঁরা। ভোর থাকতে থাকতে চাষের জমিতে লাঙল দেওয়া, মাটি তৈরি—সবই চলছে, জানান অনিল।
শিশুমণিও বলেন, “বাড়িতে বৃদ্ধা মা ছোটখাটো কাজ সামলে নেন। আর ভোটারেরা সব গ্রামেরই। সকলেই চেনা-পরিচিত। তাই প্রচারে খুব বেশি সময় দিতে হয় না।”
অনিলের দাবি, “কাজ থাকলেও ভোটপ্রচারে ফাঁকি দেওয়ার প্রশ্ন নেই। প্রচারে ভাল সাড়া মিলছে। আশা করি, সকলের আশীর্বাদ পাব।”
রুদড়া এলাকার সিপিএমের নির্বাচনী আহ্বায়ক সুবল মাহাতো, দলের কর্মী দুর্গাচরণ মণ্ডলেরা বলেন, “দল যাকে তাকে প্রার্থী করে না। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে, দলের নীতি-আদর্শ মেনে চলে, এমন মানুষদেরই প্রার্থী করা হয়। এই দুই প্রার্থীই এ বারে জয়ী হবেন।”
ব্লক তৃণমূল সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতোর তবে কটাক্ষ, “সিপিএমের নীতি, আদর্শ বলে কিছু নেই। দলের এমনই অবস্থা যে, আর প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে স্বামী-স্ত্রী, দু’জনকেই প্রার্থী করেছে। তবে জঙ্গলমহলের মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে আছেন। তাঁরা তৃণমূলকেই জেতাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy