বগটুই গ্রামের পোড়া বাড়িতে তদন্তে ফরেন্সিক দল। নিজস্ব চিত্র
কোথাও কোনও বড় ঘটনা ঘটে গেলে বা তেমন কিছু হওয়ার আঁচ করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে তা জেলা স্তরে জানাতে বললেন অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে বৈঠক থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই বার্তা দেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। পঞ্চায়েতে নেতার আত্মীয়দের টিকিট দেওয়া হবে না বলেও দাবি করেন।
এ দিন বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ঘণ্টাখানেকের ওই বৈঠকে অনুব্রত বগটুই-কাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘বগটুইয়ের ঘটনা মর্মান্তিক। জেলার কোথাও কোনও বড় ধরনের ঘটনা ঘটলে বা বড় ঘটনা ঘটার আঁচ করতে পারলে লুকিয়ে রাখবেন না। সঙ্গে সঙ্গে জেলা নেতৃত্বকে জানাবেন। নেতৃত্ব বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেবে।’’
রবিবার শিলিগুড়ির সভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকায় কোনও অশান্তি কিংবা গোলমালের খবর পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আপনারা যদি ক্ষতিকারক এই ধরনের ঘটনা ধরিয়ে দিতে পারেন, এই রকম খবর থাকলে সরাসরি আমার কাছে পাঠাতে পারেন, তা হলে রাজ্য সরকার পুরস্কৃত করবে।’’
বোলপুরে এ দিনের বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ও ওঠে। কর্মীদের উদ্দেশে অনুব্রত বলেন, “পঞ্চায়েতে কোনও নেতার আত্মীয়কে টিকিট দেওয়া হবে না। কেউ টিকিটের জন্য নাম প্রস্তাবও করবেন না।” ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সংসদ অসিত মাল, জেলা সহ-সভাপতি তথা বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ থেকে বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতিরা। প্রতিটি বুথে ঘুরে আরও বেশি করে জনসংযোগ, সভা করা থেকে রাজনীতির রং-না দেখে সমস্যার সমাধানেও জোর দেন। এ দিন বৈঠকে সংবাদমাধ্যমকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
অনুব্রতর মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষের কথায়, ‘‘বগটুইয়ের ঘটনা তো জেনেও আটকাতে পারলেন না তাঁরা। এর থেকে এটাই বোঝা যায় যে সব কিছুই তাঁদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy