Advertisement
E-Paper

কড়ি ফেললে মিলবে জল,উদ্বোধনে মন্ত্রী

শনিবার মহকুমা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে উদ্বোধন হয় ‘এটিএম ওয়াটার ভেন্ডিং কাউন্টার’-এর। রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তার উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী এবং প্রশাসনের দাবি, রাজ্যে এই প্রথম কোনও প্রশাসনিক ভবনে এমন পরিষেবা চালু হল।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৫৪

‘ফেলো কড়ি খাও জল’— রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে এ বার কড়ি ফেললেই গ্রাহকেরা তাঁদের তৃষ্ণা মেটাতে পারবেন। দশ টাকার কয়েন ছাড়াও ডেবিট কার্ড বা পেটিম-এর মাধ্যমে ওই জল মিলবে। শনিবার মহকুমা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে উদ্বোধন হয় ‘এটিএম ওয়াটার ভেন্ডিং কাউন্টার’-এর। রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তার উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী এবং প্রশাসনের দাবি, রাজ্যে এই প্রথম কোনও প্রশাসনিক ভবনে এমন পরিষেবা চালু হল।

মন্ত্রী জানান, রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে মহকুমা এলাকার অধীন আটটি ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন দৈনন্দিন কাজে যাতায়াত করেন। এটিএম ওয়াটার ভেন্ডিং যন্ত্রের মাধ্যমে কাজে আসা কাছের বা দূরদূরান্তের মানুষ দশ টাকা বা সাত টাকা দিলেই যন্ত্রের মাধ্যমে পানীয় জলের বোতল পাবেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে দশ টাকায় মিলবে এক লিটার জলের বোতল। আর সাত টাকায় মিলবে ৫০০ গ্রাম জল।’’ আগামী দিনে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন খাতে এবং তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং গ্রামাঞ্চলেও এই ধরনের সুবিধা চালু করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মন্ত্রী।

রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে এই ধরনের ব্যবস্থা চালু করার জন্য মন্ত্রী মহকুমাশাসক (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাসের প্রশংসা করেন মন্ত্রী। এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস-সহ প্রশাসনিক ভবনের তিন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন ব্লকের বিডিও, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বিএমওএইচরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারাও। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট মহকুমাশাসকের উন্নয়নমূলক তহবিল খাতে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই যন্ত্রটি বসানো হয়েছে। যন্ত্রটি আপাতত এজেন্সির লোকজন দেখভাল করবে। দৈনিক ২০০টি বোতল জলের যোগান দিতে পারবে। যন্ত্রে গ্রাহক টাকা বা এটিএম কার্ড ব্যবহার করলে ‘ডিসপ্লে স্ক্রিন’-এ কত পরিমাণ জল দরকার সেটা বুঝতে পারবে। সেই মতো টাকা বাড়তি টাকা ফেরত পাবে গ্রাহক।

এক্ষেত্রে কেউ যদি এক লিটার বোতলের জন্য ১০০ টাকা প্রদান করেন, সেক্ষেত্রে বাকি ৯০ টাকা গ্রাহক ফেরত পাবেন। একই জিনিস প্রযোজ্য হবে ৫০০ গ্রামের পানীয় জলের বোতলের ক্ষেত্রেও। রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, ‘‘গরমের দিনে শহরের পথ চলতি মানুষও স্বল্পমূল্যে জল পাবেন। এলাকাবাসীও উপকৃত হবেন।’’

ATM Water Vending Counter Water ATM Coins
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy