দিশা: বায়ুসেনায় চাকরির ব্যাপারে নানা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন কর্তারা। সিউড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
যুব সমাজের কাছে বায়ুসেনার চাকরি আরও আর্কষণীয় করে তোলার উদ্দেশে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হল। শুক্রবার ওই শিবিরের আয়োজন করে জেলা যুবকল্যাণ দফতর। উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমাশাসক কৌশিক সিংহ, জেলা যুব আধিকারিক সৈকত হাজরা, উপপুরপ্রধান বিদ্যাসাগর সাউ। শিবিরে ব্যারাকপুরের চার নম্বর এয়ারম্যান সিলেকশন সেন্টারের বায়ুসেনার দুই আধিকারিক সার্জেন্ট জ্ঞানেন্দ্র কুমার এবং রাজেন্দ্র শর্মা চৌধুরী বায়ুসেনার চাকরির হাল-হকিকত তুলে ধরেন উপস্থিত স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কাছে।
কেন বীরভূমে এই ধরনের অনুষ্ঠান? রাজেন্দ্রশর্মা চৌধুরী বলেন, “কেন্দ্রীয় এয়ারম্যান সিলেকশন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যে সব এলাকায় বায়ুসেনাতে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা কম, সেখানে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বীরভূম, বর্ধমান, আলিপুরদুয়ার থেকে ছাত্ররা সে ভাবে বায়ুসেনায় যোগদানে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।’’ সারা দেশে ১৪টি এয়ারম্যান সিলেকশন সেন্টারের মাধ্যমে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয় বলে তিনি জানান। গত ২৫ ও ২৬ তারিখে রামপুরহাট ও বোলপুরেও শিবির আয়োজিত হয়েছে বলে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়।
শিবিরে চাকরির পরীক্ষায় কী ভাবে আবেদন করতে হবে, কারা বায়ুসেনায় যোগ দিতে পারে— সে বিষয়ে আলোচনা করেন সার্জেন্ট জ্ঞানেন্দ্র কুমার। বেতন-সহ অন্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়। ব্যারাকপুরের এই সেন্টার থেকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও সিকিমের ছাত্রদের জন্যও শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়। সদর মহকুমাশাসক কৌশিক সিংহ বলেন, “দেশের জন্য যারা গর্ব অনুভব করতে চাও, তাদের জন্য এটা বড় সুযোগ।’’ জেলা যুব আধিকারিক সৈকত হাজরা তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ছাত্ররাও এই পেশায় সহজে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মাইনের চাকরি পেতে পারে।’’
উপপুরপ্রধান তথা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিদ্যাসাগর সাউ ছাত্রদের উৎসাহ দিয়ে জানান, শহরের ছাত্রেরা বায়ুসেনায় যোগ দিয়ে দেশের সেবা করলে তা খুব গর্বের বিষয় হবে। স্থানীয় স্কুলের ছাত্র অর্কপ্রভ দাস, বিপ্লব মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, দেবনাথ রায় বা সিউ়়ড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রী রুবিনা খাতুন, লুৎফা খাতুন, সুনীতা ঘোষেরা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আপ্লুত। প্রত্যেকের মুখে একই কথা, ‘‘এত দিনে একটা দিশা পেলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy