Advertisement
E-Paper

ধর্না মঞ্চেই চিকিৎসার ভাবনা

শুক্রবার ও শনিবার টানা দু’দিন বাঁকুড়া মেডিক্যালের আউটডোর বন্ধ থাকায় রোগীরা বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। সোমবার আউটডোর খোলা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০০:১৩
শিরায়-শিরায়: রক্ত দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। রবিবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

শিরায়-শিরায়: রক্ত দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। রবিবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

আন্দোলনের মধ্যেই রোগী দেখার সিদ্ধান্ত নিলেন বাঁকুড়া মেডিক্যালের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। তবে, হাসপাতালের আউটডোর নয়, তাঁরা জানিয়েছেন রোগী দেখবেন মেডিক্যালের গোবিন্দনগর ক্যাম্পাসে ধর্নামঞ্চের কাছে। শুধু তাই নয়, রোগীদের স্বার্থে রবিবার তাঁরা ধর্নামঞ্চে রক্তদানও করলেন।

রবিবার ধর্নামঞ্চ থেকে তাঁরা জানান, আজ, সোমবার থেকে সমান্তরাল আউটডোর পরিষেবা চালু করবেন, খোলা আকাশের নীচে হাসপাতাল চত্বরের ধর্না মঞ্চে। তাঁরা বলেন, ‘‘নিরাপত্তার দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজে যোগ দিচ্ছি না। তবে রোগীদের স্বার্থে আমরা ধর্নামঞ্চের কাছে সোমবার থেকে চিকিৎসা করব।’’ এ ক্ষেত্রে রোগীদের টিকিট করানো হবে জরুরি বিভাগ থেকে।

এ দিকে শুক্রবার ও শনিবার টানা দু’দিন বাঁকুড়া মেডিক্যালের আউটডোর বন্ধ থাকায় রোগীরা বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। সোমবার আউটডোর খোলা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন সিদ্ধান্তের কথা শুনে তাঁরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, মেডিক্যালের আউটডোরে চিকিৎসার যে সব সরঞ্জাম রয়েছে, পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, ধর্না মঞ্চে তা পাওয়া যাবে না। ফলে জটিল রোগের সেখানে চিকিৎসা হবে কী ভাবে?

সিনিয়র ডাক্তারেরা বৃহস্পতিবার আউটডোরে রোগী দেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২১ জন শনিবার সন্ধ্যায় ধর্নামঞ্চে গিয়ে গণইস্তফা দেওয়ায় সোমবার মেডিক্যালের আউটডোর খোলা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ঘনিয়েছে। সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

এ দিন রোগীর পরিজনেরা অভিযোগ তুলেছেন, ইন্ডোরে ডাক্তারদের উপস্থিতি অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল। আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে ইন্ডোরেও সঙ্কট বাড়বে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। ওন্দার নিকুঞ্জপুরের বাসিন্দা স্বপন লোহার বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা সব সময়েও ওয়ার্ডে থাকছেন না, তবে বিভিন্ন সময়ে তাঁরা এসে রোগীদের দেখে যাচ্ছেন।’’ ইঁদপুরের পাপন বাউড়ি বলেন, ‘‘বাঁকুড়া মেডিক্যালে রোজ যেমন ডাক্তার থাকে, এ দিন সে তুলনায় কম ছিলেন। ন্যূনতম পরিষেবার বেশি পাওয়া যাচ্ছে না।’’

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসকেরা গণইস্তফা দিলেও তাঁরা এ দিন কাজ করেছেন। বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, ‘‘অন্য দিনের মতো এ দিনও ইন্ডোর পরিষেবা সচল ছিল। অস্ত্রোপচারও হয়েছে।’’

ব্লাড ব্যাঙ্কে গত কয়েক মাস ধরেই পর্যাপ্ত রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এ দিন ধর্না মঞ্চেই রক্তদান শিবির করলেন আন্দোলনকারীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ৫০ জনের বেশি জুনিয়র ডাক্তার রক্ত দিলেন। তা দেখে রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা বাহবা দেন। সেই সঙ্গেই আর্জি জানান, রক্তদানের মতোই রোগীদের পরিষেবা দিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরাও জরুরি।

Bengal Doctors Strike Bankura Bankura Medical College
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy