Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ফোন চুরি ধরাল বাইক-চোরকে

পরের পর ভুল। মোটরবাইকের সঙ্গে চুরি করা হয়েছিল এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন। চুরির পরেও সেই মোবাইলের স্যুইচ অফ করা হয়নি। তা চালু রেখে আরও বড় ভুল করেছিল দুষ্কৃতীরা। আর তাতেই ধরা পড়ে গেল মোটরবাইক চুরির সঙ্গে যুক্ত গোটা চক্রটাই। শুধু চুরি করা ওই মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের জালে নিয়ে আসে পুলিশ। বুধবার রাতে ওই চুরি চক্রে যুক্ত অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া পুলিশ। উদ্ধার করেছে মোট পাঁচটি মোটরবাইক। ধৃতদের মধ্যে কৃষ্ণ গড়াই আসানসোলের পাণ্ডবেশ্বর, আস্তিক ঘোষ অন্ডাল থানার উখড়া, বিকাশ দত্ত দুর্গাপুর এবং সন্দীপ মণ্ডল বীরভূমের পলাশবনি এলাকার বাসিন্দা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ০২:১৯
Share: Save:

পরের পর ভুল। মোটরবাইকের সঙ্গে চুরি করা হয়েছিল এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন। চুরির পরেও সেই মোবাইলের স্যুইচ অফ করা হয়নি। তা চালু রেখে আরও বড় ভুল করেছিল দুষ্কৃতীরা। আর তাতেই ধরা পড়ে গেল মোটরবাইক চুরির সঙ্গে যুক্ত গোটা চক্রটাই।

শুধু চুরি করা ওই মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের জালে নিয়ে আসে পুলিশ। বুধবার রাতে ওই চুরি চক্রে যুক্ত অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া পুলিশ। উদ্ধার করেছে মোট পাঁচটি মোটরবাইক। ধৃতদের মধ্যে কৃষ্ণ গড়াই আসানসোলের পাণ্ডবেশ্বর, আস্তিক ঘোষ অন্ডাল থানার উখড়া, বিকাশ দত্ত দুর্গাপুর এবং সন্দীপ মণ্ডল বীরভূমের পলাশবনি এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া আদালতে তোলা হয়। বাঁকুড়ার ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) বাপ্পাদিত্য ঘোষ বলেন, “গত ৮ মার্চ শালতোড়ার এক ব্যক্তির মোটরবাইক ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মোবাইলে দু’টি সিমকার্ড ছিল। একটি বন্ধ করে করে রাখলেও অন্যটি খোলাই রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই দুষ্কৃতীদের ধরতে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে বাঁকুড়া পুলিশ। যার নেতৃত্বে ছিলেন বাপ্পাদিত্যবাবু। সঙ্গে ছিলেন গঙ্গাজলঘাটির সিআই ভবেন মল্লিক, ছাতনা থানার ওসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, শালতোড়া থানার ওসি শেষ কুমার প্রমুখ। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার চুরি যাওয়া মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখায় পান্ডবেশ্বর।

বাপ্পাদিত্যবাবু-সহ তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে যান। তল্লাশি করে কৃষ্ণকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের কাছে ভেঙে পড়েন আস্তিক। তিনি বিকাশ, সন্দীপদের নাম বলেন। এরপর অন্যান্য থানার সহায়তায় বাকিরাও বাঁকুড়া পুলিশের জালে ধরা পড়েন। পাঁচটি মোটরবাইক উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও মোটরবাইকগুলির নম্বর প্লেট না থাকায় এখনও মালিকের খোঁজ পায়নি পুলিশ। বাপ্পাদিত্যবাবু বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে আমরা জানতে পেরেছি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় একাধিক মোটরবাইক চুরির ঘটনায় জড়িত রয়েছেন ধৃতেরা। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছি আমরা।” জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, “গোটা দলই খুব দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করেছে। এই রাজ্যের বাইরেও মোটরবাইক চুরির ঘটনায় ধৃতেরা জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE