E-Paper

কী বার্তা দেবেন নেত্রী, চর্চা জেলা তৃণমূলে

প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি কালীঘাটে বীরভূমের নেতাদের ডেকে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় ৯ সদস্যের কোর কমিটির বহর ছেঁটে পাঁচ সদস্যের করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৩
বোলপুর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বোলপুর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে পৌঁছচ্ছেন শনিবার রাতে। তাঁকে স্বাগত জানাতে জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা থাকবেন। পর দিন প্রশাসনিক সভা সফল করতেও সমান তৎপর জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি। কিন্তু, দলের অন্দরে কৌতূহল দলনেত্রী কী বার্তা দেন, তা নিয়ে। বিশেষ করে সামনেই যখন লোকসভা নির্বাচন।

জল্পনা চলছে, তাঁর হাতে তৈরি জেলা তৃণমূলের নতুন পাঁচ সদস্যের কোর কমিটির সঙ্গে কি এ বার বৈঠক করবেন মমতা? তাঁর ‘স্নেহের’ অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট নিয়ে ফের কি কোনও বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী? কোর কমিটি থেকে বাদ পড়া জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ ফের কমিটিতে আসবেন কি না—চর্চা চলছে সে নিয়েও। কোর কমিটির এক সদস্য বলছেন, ‘‘জল্পনা নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়। তা ছাড়া সিদ্ধান্ত নেত্রী নিয়েছিলেন। অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তিনিই নেবেন।’’ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অবশ্য বৈঠক হওয়ার কোনও খবর মেলেনি তৃণমূল সূত্র থেকে। তবে, কোর কমিটির কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এ দিন বলেন, ‘‘দিদি যখন আসছেন জেলায়, তখন নিশ্চয়ই বৈঠক হবে।’’

প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি কালীঘাটে বীরভূমের নেতাদের ডেকে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় ৯ সদস্যের কোর কমিটির বহর ছেঁটে পাঁচ সদস্যের করা হয়। বাদ পড়েন কাজল শেখ, দুই সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বিশ্ববিজয় মার্ডি। তবে, কাজলের বাদ পড়া নিয়েই সব চেয়ে বেশি হইচই হয়েছে জেলার রাজনীতিতে। তা ছাড়া, কাজলকে বেশ কিছু কারণে ‘ধমক’ও দিয়েছিলেন মমতা। দল সূত্রের দাবি, কোর কমিটি থেকে সভাধিপতির বাদ পড়া নিয়ে কাজল অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। যদিও কোর কমিটি থেকে সরালেও কাজলকে আলাদা করে কোর কমিটির পাঁচ সদস্যদের মতো দু’টি বিধানসভার (নানুর ও কেতুগ্রাম) দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার পর থেকে কাজল শেখ অনেক সংযত।

শুক্রবার বিকেলে প্রতিটি ব্লকের সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন কোর কমিটির ৫ সদস্য। ছিলেন বোলপুরের সাংসদ-সহ জেলার অন্য নেতারাও। বৈঠকে মুখযমন্ত্রীর সভায় কী ভাবে লোক নিয়ে আসতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশ আকারে ব্লক নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে দু’টি করে বাস নিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে নির্দেশ কোনও বিশৃঙ্খলতা যাতে না হয়। তবে, এ দিনের বৈঠকে কাজল ছিলেন না। কাজলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত নানুরের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যও ছিলেন গরহাজির। বিকাশ অবশ্য জানিয়েছেন, কাজল যে ‘ব্যক্তিগত কাজ’ থাকায় আসবেন না, তা দলকে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে, নানুর ব্লকের কেউ কেন ছিলেন না, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC Birbhum

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy