Advertisement
E-Paper

বিষ্ণুপুরে যানজট কাটাতে তৎপরতা

পুজোর মুখে যান-যন্ত্রণা থেকে বিষ্ণুপুরবাসীকে স্বস্তি দিতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। শনিবার বিষ্ণুপুরের গ্রামীণ হাটের তিন তলায় সাব-ট্র্যাফিক গার্ড অফিস পরিদর্শনে এসে এ কথা শোনালেন পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৮
সাক্ষাৎ: সাব-ট্র্যাফিক গার্ড অফিস পরিদর্শনে পুলিশ সুপার। —নিজস্ব চিত্র।

সাক্ষাৎ: সাব-ট্র্যাফিক গার্ড অফিস পরিদর্শনে পুলিশ সুপার। —নিজস্ব চিত্র।

পুজোর মুখে যান-যন্ত্রণা থেকে বিষ্ণুপুরবাসীকে স্বস্তি দিতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। শনিবার বিষ্ণুপুরের গ্রামীণ হাটের তিন তলায় সাব-ট্র্যাফিক গার্ড অফিস পরিদর্শনে এসে এ কথা শোনালেন পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও।

তিনি বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুর শহরে আলাদা করে একটি ট্র্যাফিক ইউনিট করা হবে। বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলে তার অফিস পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ছোট একটা থানা করে সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ করে শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হবে। এই শহরে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে হেল্প ডেক্সও চালু করা হবে।’’

তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব পুজো মরসুমে এই অফিস চালু করা হবে। পরিকাঠামো তৈরি করার পরে এখানে পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হবে। দায়িত্বে থাকবেন এসডিপিও (বিষ্ণুপুর)।

বিষ্ণুপুর শহরের সঙ্গে সোনামুখীতেও ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নতি কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এসডিপিও জানান, বিষ্ণুপুর মহকুমায় দু’টি ট্রাফিক অফিস হচ্ছে। বিষ্ণুপুর সাব-ট্র্যাফিক গার্ড এবং সোনামুখীতে জেনারেল ট্র্যাফিক গার্ড অফিস হচ্ছে। দু’জন সাব ইন্সপেক্টর ওসি হিসাবে থাকবেন।

বিষ্ণুপুর শহরের নতুন ট্র্যাফিক ওসি পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, শহরের ট্যাফিক ব্যবস্থার উন্নতিতে তিনটি জ়োনে ভাগ করা হচ্ছে। ১২ থেকে ১৩টি পয়েন্টে ট্র্যাফিক ম্যাপ ও রুট ঠিক করা হচ্ছে। তিনটি জ়োন হল: ১) সোনামুখী বাইপাস মোড় থেকে বোলতলা হয়ে পোঁকাবাঁধ। ২) বিড়াইমোড় থেকে স্টেশন হয়ে ঝাপড় মোড় হয়ে রসিকগঞ্জ হয়ে রবীন্দ্র স্ট্যাচু মোড়। ৩) ব্লক অফিসের কাছে পুলিশ চৌকি থেকে ছিন্নমস্তা মন্দির হয়ে মাড়ুই বাজার পর্যন্ত।

তিন জন পুলিশ অফিসার মোটরবাইকে জ়োন ধরে ক্রমাগত টহল দেবেন। যান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হলেই তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। ট্র্যাফিকের দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাতে বোঝার জন্য বিশেষ পোশাক, সিগন্যাল লাইটিং স্ট্রিক থেকে যাবতীয় আধুনিক ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র দেওয়া হবে। এমনকী প্রাথমিক চিকিৎসার পাঠও দেওয়া হবে। এ ছাড়া রাস্তা সব সময় থাকবে ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্স এবং ব্রেকডাউন ভ্যান। রাখা হবে গ্যাস কাটারও।

বিষ্ণুপুর শহরে দোকানের সামনে থেকে শুরু করে রাস্তার উপর যেখানে সেখানে মোটরবাইক থেকে ছোট গাড়ি, টোটো, অটো রাখা হয়। এই প্রবণতা বন্ধ করতে পুলিশ প্রথমে অনুরোধ করবে। পরে মাইকে ঘোষণা করবে। তাতেও কাজ না হলে স্পট ফাইন ও প্রয়োজনে গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে। একই সঙ্গে ট্যুরিস্ট-পুলিশ পর্যটকদের সাহায্যের জন্য থাকবে। রাজ্যে দু’টি জায়গায় ট্যুরিস্ট-পুলিশ চালু হচ্ছে। তার মধ্যে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে প্রথম হচ্ছে বলে জেলা পুলিশের দাবি।

বিষ্ণুপুরের আমজনতা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০১৪ সালে শহর জুড়ে ট্র্যাফিক কিয়স্কের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পোস্ট বসেছিল। কিন্তু, তা আর চালু হয়নি। পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। এ বার তাই পুলিশের যান-নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা পরিকল্পনা মাফিক বাস্তবায়িত হোক, সেটাই তাঁরা চাইছেন।

Bishnupur Police Traffic বিষ্ণুপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy