Advertisement
E-Paper

ঝুঁকি নিয়ে ফের বাসের ছাদে যাত্রী

মাস ছ’য়েক আগেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান করা হয়েছিল। বাসের ছাদে যাত্রী চাপানো বন্ধ করা ও ছাদে ওঠার সিঁড়ি কাটিয়ে দেওয়ার জন্যই ওই অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩২
সিউড়িতে ভরা শীতেও বাসের ছাদে চেপে ঝুঁকির যাত্রা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

সিউড়িতে ভরা শীতেও বাসের ছাদে চেপে ঝুঁকির যাত্রা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

দুর্ঘটনার ঝুঁকি রুখতে অভিযান হয়েছিল। তারপরে কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই ফের পুরনো পরিস্থিতি ফিরে এসেছে সিউড়িতে। ফের বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহণের ছবি দেখা যাচ্ছে জেলা জুড়ে।

মাস ছ’য়েক আগেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান করা হয়েছিল। বাসের ছাদে যাত্রী চাপানো বন্ধ করা ও ছাদে ওঠার সিঁড়ি কাটিয়ে দেওয়ার জন্যই ওই অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেই সময় বাস স্ট্যাণ্ডে গিয়ে তাঁরা দেখেছিলেন যে কোনও বাসের পিছনে সিঁড়ি নেই। কোনও ছাদেও যাত্রী নেই। ওই অভিযানের পর বেশ কয়েকমাস বাসের ছাদে যাত্রীদের দেখা মেলেনি বললেই চলে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকার চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে শহরের ভিতর দিয়ে গন্তব্যে রওনা হচ্ছে বাস। কার্যত নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছাদে লোক নেওয়া হচ্ছে।

শহরবাসীর একাংশের ক্ষোভ, কোনও বড় দুর্ঘটনা না ঘটলে হয়তো প্রশাসনের হুঁশ ফিরবে না। তখনও হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে ছাদে যাত্রী চাপানো। তার পর আবার এই অবস্থা ফিরে আসবে। তা নিয়ে জেলার পরিবহণ আধিকারিক মৃন্ময় মজুমদার বলেন, ‘‘বাসের সিঁড়ি দিয়ে যাতে লোক ছাদে উঠতে না পারেন তাই আমরা বাসের ছাদে ওঠার সিঁড়িগুলি কাটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। এই নিয়ে জেলার তিন মহকুমায় অভিযানও হয়েছে। তবে সম্প্রতি যে ঝাড়খণ্ড থেকে জেলায় আসা বাসের ছাদে যাত্রী চাপানো হচ্ছে তা আমাদের নজরে এসেছে। শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে।’’

বাসের ছাদে যে যাত্রী তোলা নিয়মবিরুদ্ধ তা সম্পর্কে চালক, কন্ডাক্টর থেকে বাসের যাত্রী সকলেই জানেন। তবে গত কয়েকদিনে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে বাসের ছাদে উঠে পড়ছেন যাত্রীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রীকে ছাদে কেন উঠছেন জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বললেন, ‘‘বাসে দাঁড়ানোর জায়গা নেই। তাই ছাদে উঠছি।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক যাত্রী বলেন, ‘‘ছাদে ভাড়া কম লাগে। আবার আরামে যাওয়া যায়।’’ শহরবাসীর একাংশের দাবি, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানোর সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও বাসের কর্মীরা সচেতন না হলে এ ভাবে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ হবে না।

Siuri Bus Passangers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy