পাকা বাড়ি থাকলেও মাঠে-ঘাটে শৌচকর্ম সারার অভ্যাসে ছেদ পড়েনি অনেকের। বার বার প্রশাসনের তরফে বার্তা দিয়েও সে প্রবণতা বন্ধ করা যায়নি। এ বারে কেন্দ্রের ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং’ দলের সদস্যেদের সামনেই উঠে এল এমন তথ্য।
শুক্রবার বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের রতনপুর, ওন্দা ২ ও পুনিশোল পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ পরিদর্শন করেন তাঁরা। পুনিশোল পঞ্চায়েতের দুবড়াকোন গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন দুলাল মাল। তাঁর বাড়িতে যান দলের প্রতিনিধিরা। দুলাল বাড়ি নির্মাণের কাজ অনেকটা সেরে ফেলেছেন। বাকি দেওয়ালের প্লাস্টার ও মেঝে তৈরি। কোথায় শৌচালয় গড়ছেন, দুলালের কাছে সে প্রশ্ন করেন দলের নেতৃত্বে থাকা আধিকারিক এস এস চৌহান। শৌচালয় গড়া হয়নি জানালে প্রতিনিধিরা জানতে চান, কোথায় শৌচকর্ম করেন তাঁরা। উত্তরে দুলাল জানান, খোলা মাঠেই সে কাজ করেন। শুনে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। কেন শৌচালয় বানানো হয়নি, এ প্রশ্নের উত্তরে দুলাল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্পে শৌচালয় বানানোর টাকা পেয়েছি। তবে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় টাকায় কুলোচ্ছে না।” তবে দুলালকে তাঁরা জানিয়ে দেন, শৌচালয় বাড়িতে গড়তেই হবে।
পুনিশোল পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল হক মণ্ডল বলেন, “সরকারি প্রকল্পে শৌচালয় পেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু কিছু মানুষ তা বানাচ্ছেন না। শীঘ্রই তাঁদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ হবে।” বিডিও (ওন্দা) শুভঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। খোঁজ নেওয়া হবে।”