বোলপুর শান্তিনিকেতনের প্ল্যাটফর্মে মারামারির সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
নিউ জলপাউগুড়িগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বোলপুর শান্তিনিকেতন স্টেশনে ঢুকতেই বিপত্তি। ভিড়ে ভিড়াক্কার স্টেশনে রেলকর্মীর সঙ্গে বন্দে ভারতে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের বচসা থেকে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি। রেলকর্মীর অভিযোগ, তাঁকে মারধর করেছে আরপিএফ। এই ঘটনায় স্টেশন চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেখতে বোলপুর শান্তিনিকেতন স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। ছিলেন বিপুল সংখ্যায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরাও। তারই মধ্যে ভোঁ বাজিয়ে স্টেশনে ঢোকে বন্দে ভারত। বহু মানুষ হামলে পড়েন নতুন ট্রেনের সামনে। সেই সময়ই দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দিতে দিতে বার করে দিচ্ছেন উর্দিপরা আরপিএফ কর্মীরা। কে ওই ব্যক্তি? পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি রেলেরই কর্মী। তিনি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উঠতে চেয়েছিলেন। তখন বাধা দেন বন্দে ভারতে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীরা। রেলকর্মী নিজের পরিচয় কার্ড দেখান। কিন্তু তা-ও তাঁকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়নি। এতেই বচসা বেধে যায়। কী হয়েছে দেখতে সেখানে জড়ো হন বহু মানুষ। এর পরই ওই রেলকর্মীকে ধাক্কা দিতে দিতে বাইরে নিয়ে যেতে দেখা যায় মারমুখী আরপিএফকে। এতে স্টেশনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
ওই রেলকর্মীর অভিযোগ, তিনি বৈধ কার্ড দেখালেও তাঁকে ট্রেনে উঠতে দেননি আরপিএফ কর্মীরা। উল্টে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওই কর্মীর। যদিও ট্রেন ছাড়তে সমস্যা হয়নি। নির্ধারিত সময়েই প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। স্টেশন সূত্রের খবর, বন্দে ভারত ট্রেনে কারা উঠতে পারবেন তার তালিকা আগে থেকেই তৈরি করা ছিল। তার বাইরে কাউকে সেখানে যেতে দেওয়ার কথা নয়। সেই কারণেই ওই রেলকর্মীকে ট্রেনে উঠতে বাধা দিয়েছিলেন আরপিএফ কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy